ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় দুই পর্যটক নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। আহত পর্যটকরা রাজস্থানের বাসিন্দা। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির নিরাপত্তা বিভাগের একটি সূত্র।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে পহেলগামের বৈসরান উপত্যকায় বন্দুকধারীরা হামলা করে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পহেলগামের বৈসরান তৃণভূমিতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা দু’তিনজন হামলা করে। সেখানে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই, কেবল পায়ে হেঁটে বা ঘোড়া দিয়ে যাওয়া যায়।
মঙ্গলবার সকালে একদল পর্যটক বেড়াতে গিয়েছিলেন। বন্দুকধারীদের গুলিতে আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয়রাও কয়েকজনকে ঘোড়ায় চড়িয়ে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা খুব কাছ থেকে পর্যটকদের ওপর গুলি চালিয়েছে, ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহত এক নারী পর্যটক পিটিআইকে বলেন, ‘আমার স্বামীর মাথায় গুলি লেগেছে। আরও সাতজন আহত হয়েছেন।’
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মোবাইল ফোনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দিনের সফরে সৌদি আরবে রয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে অমিত শাহও জানিয়েছেন তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা হবেন।
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি শোকাহত। পর্যটকদের ওপর এই আক্রমণ জঘন্য কাজ। এ হামলার অপরাধীরা পশু, অমানবিক ও অবমাননার যোগ্য। নিন্দার কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়। আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা তদারকি করতে হাসপাতালে গিয়েছেন আধিকারিকরা। আমিও অবিলম্বে শ্রীনগরে ফিরে যাচ্ছি।’