ঢাকা বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

নতুন পররাষ্ট্র নীতির পথে মার্কিন প্রশাসন

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত কূটনৈতিক দপ্তরগুলো ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য, কারণ এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বহু দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন ও গভীরতা প্রভাবিত হতে পারে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা মার্কো রুবিও জানান, ‘নিজেকে আগে’ নীতিকে সামনে রেখে বিদেশে পরিচালিত দপ্তরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হবে।

গোপন নথিতে বিস্তারিত পরিকল্পনা

বিশ্বখ্যাত সংবাদসংস্থাগুলোর দাবি, তাদের হাতে থাকা একটি গোপন দলিল অনুযায়ী, বর্তমানে পররাষ্ট্র বিভাগের অধীন ৭৩৪টি দপ্তরের মধ্যে অন্তত ১৩২টি সরাসরি বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি ১৩৭টি দপ্তর স্থানান্তরের পরিকল্পনাও রয়েছে।

এই নথিটি মার্কিন আইনসভাকে অবহিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যাতে এই কাঠামোগত রূপান্তর নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হতে পারে।

কোন দপ্তরগুলো ঝুঁকির মুখে?

# যদিও এখনো নির্দিষ্টভাবে কোন কোন দপ্তর বন্ধ হবে, তা জানানো হয়নি, তবে সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে:
# নারী-সম্পৃক্ত কার্যক্রমবিষয়ক দপ্তর
# বৈচিত্র্য এবং সমন্বয়বিষয়ক দপ্তর
# আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড)- যেটি ইতোমধ্যেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ মূলত পুরোনো প্রশাসনের আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে এনে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

উদ্দেশ্য ও প্রতিক্রিয়া

মার্কো রুবিওর ভাষায়, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্তমানে অতিরিক্ত স্তর ও অকার্যকর প্রশাসনের জালে আবদ্ধ। এই অবস্থায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।’ 

তার মতে, দূতাবাস ও অন্যান্য মিশনগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে এই রূপান্তর সহায়ক হবে।

মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর নিয়ে প্রাথমিকভাবে বন্ধের আশঙ্কা থাকলেও, আপাতত সে পথে হাঁটছে না ওয়াশিংটন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একমত যে, বর্তমান পরিকাঠামো প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জটিল ও ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ

নতুন কাঠামো অনুযায়ী, বিদেশের দপ্তরগুলোর কাজ হবে অধিকতর দেশের নিজস্ব স্বার্থকেন্দ্রিক। এতে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারের বদলে, সম্পদের সাশ্রয় এবং ‘দেশ আগে’ নীতির বাস্তবায়নই হবে মূল লক্ষ্য।