অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জোরালো ও বৃহৎ পরিসরে স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে অর্থ সংকট।
এ জন্য আরও অর্থের বাজেট চেয়েছে সেনা পরিদপ্তর। যার পরিমাণ ১০ বিলিয়ন শেকেল (২.৬ বিলিয়ন ডলার)। তবে অর্থের পরিমাণ দেখে বিস্মিত হয়েছেন ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।
হিব্রু সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ বলছে, যুদ্ধবিরতির পর এক মাস ধরে গাজায় যুদ্ধ পুনরায় জোরালো ও সম্প্রসারণের পরিকল্পনার জন্য বিপুল ব্যয় হচ্ছে। ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী এরই মধ্যে প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ডলার বাজেট বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৃহৎ পরিসরে যুদ্ধ জোরদারের অতিরিক্ত ব্যয়ের হিসাব কষে রেখেছে। এর মধ্যে গাজার কাছাকাছি অবৈধ ইহুদি-বসতি স্থাপনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, রকেট হামলা মোকাবিলা ও আগামী সপ্তাহগুলোতে গাজার প্রায় ৪০ শতাংশ জয় করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
সম্প্রতি অতিরিক্ত বাজেটের চাহিদা পূরণ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু সেনাবাহিনীর অনুরোধকৃত অর্থের পরিমাণ দেখে বিস্মিতও হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদপত্রটি বলেছে, ‘স্ফীত প্রতিরক্ষা বাজেটে আরও ১০ বিলিয়ন শেকেল বরাদ্দ করা অযৌক্তিক, এ খরচ মেটাতে নাগরিকদের ওপর কর বৃদ্ধি করা হতে পারে।’
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে বলেন, ‘এটা অকল্পনীয়, এরই মধ্যে বরাদ্দকৃত প্রায় ৩১ বিলিয়ন ডলারের বাইরে প্রতিরক্ষা বাজেট যোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ তহবিল অন্তর্ভুক্ত।’
চলতি বছরের শুরুতেই ইসরায়েলি অর্থনৈতিক সংবাদপত্র ক্যালকালিস্ট জানিয়েছিল, ব্যাংক অফ ইসরায়েল ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ গাজা উপত্যকার যুদ্ধের ব্যয় আনুমানিক ২৫০ বিলিয়ন শেকেল (৬৭.৫৭ বিলিয়ন) পৌঁছেছে বলে অনুমান করেছে। যার মধ্যে সরাসরি নিরাপত্তা ব্যয়, বড় বেসামরিক ব্যয় এবং রাজস্ব হারানো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় ১ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই শিশু ও মহিলা। নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :