যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও জানিয়েছেন যে, চীনের ওপর আরোপিত বিপুল পরিমাণ শুল্ক কিছুটা হ্রাস করার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে বেইজিংয়ের অবস্থানের ওপর।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘সবকিছু তাদের ওপর নির্ভর করছে। আমাদের কাছে আছে একটি অসাধারণ দেশ- এর নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যাকে বহু বছর ধরে ঠকানো হয়েছে।’
ট্রাম্প জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করতে পারে। এই তালিকায় চীনও রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যা হবে, তা হলো আমরা চমৎকার সব চুক্তি করব। আর যদি কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তি না হয়, তাহলে আমরা একটা মূল্য নির্ধারণ করব।’
ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ‘ভালো সম্পর্ক’ বজায় রেখেছেন এবং আশাবাদী যে, দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হবে।
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে, যুক্তরাষ্ট্র কি বর্তমানে চীনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছে, ট্রাম্প জবাব দেন: ‘একেবারে সক্রিয়। সবাই আমাদের কার্যক্রমের অংশ হতে চায়।’
এদিকে চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে কয়েকটি মার্কিন রাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তারা দাবি করছে, অতিরিক্ত শুল্কের ফলে স্থানীয় কৃষি ও শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, ওয়াল স্ট্রিটে দ্বিতীয় দিনের মতো সূচক বেড়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :