ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

বন্দুকধারীদের গুলিতে ভারতীয় সেনা নিহত

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
হামলার পর সেনাবাহিনীর সতর্ক অবস্থান কাশ্মীরে ছবি: সংগৃহীত

ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার দুদিন যেতে না যেতেই নতুন করে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের তুমুল সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে।

এই ঘটনায় ভারতের সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটির উধমপুর জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।

মাত্র একদিন আগেই কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন।

হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই বন্দুকধারীদের সঙ্গে সংঘাতে ভারতীয় সেনাসদস্যের প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলার বাসন্তগড় এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানায় সেনাবাহিনী।

এনডিটিভি বলছে, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপস্থিতি ছিল বলে জানানো হয়েছিল। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিল।

সে সময় বাসন্তগড় এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়: “বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে উধমপুরের বাসন্তগড়ে অভিযান চালানো হয়।

সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখোমুখি হওয়ার পর প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষের শুরুতেই আমাদের এক সাহসী জওয়ান গুরুতর আহত হন এবং চিকিৎসার সব চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত নিহত হন।”

অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের বসন্তগড় এলাকায় সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে সেখানে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সেখানে সংঘর্ষ এখনো চলছে। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে তল্লাশি চালাচ্ছে একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা।

অনন্তনাগ পুলিশ ঘোষণা করেছে, পহেলগামে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে তাদের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

এসব তথ্য জানানোর জন্য দুটি ফোন নম্বর এবং একটি ই-মেইল আইডিও দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।