ঢাকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

কাশ্মীরে হামলাকে ‘সাজানো’ বলল পাকিস্তান

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ছবি: ইন্টারনেট

কাশ্মীরের হামলাকে ভারতের ‘সাজানো’ নাটক বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। যদিও এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি দেশটি। 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। 

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পর্যটক হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতের ‘একটি পরিকল্পিত ঘটনা’। 

তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করি, এটি একটি ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ অর্থাৎ নিজেরাই ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা’।

তবে তিনি এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

খাজা আসিফ আরও বলেন, ‘ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সক্রিয় কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো ধরনের সংযোগ নেই।

কাশ্মীরে যা ঘটছে বা কাশ্মীরি কোনো আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। আমরা কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নই।’

পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত সরকারের দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘ভারত সরকার যে অভিযোগ করছে, আমি তা জোরালোভাবে নাকচ করছি।’

এর আগে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার দেশটির একটি বেসরকারি চ্যানেলে বলেন, ‘ভারতের নেওয়া পদক্ষেপগুলো শিশুসুলভ এবং এতে গুরুত্বের অভাব রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারত প্রতিটি ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং অতীতের মতো এবারও পাকিস্তানকে দোষারোপ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা বৈঠকে ভারতকে যোগ্য জবাব দেব, এই জবাব কম হবে না।’

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক।

হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এ সংগঠন পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়।

উল্লেখ্য, কাশ্মীরে মঙ্গলবারের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

হুমকি-নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে গেছে ইতোমধ্যে।