মস্কোর উপকণ্ঠে বালাশিখায় একটি গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছে রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক। ঘটনাটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাতের ঠিক আগমুহূর্তে ঘটলো।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রী সংবাদমাধ্যম তাস। প্রথমে সরকারিভাবে নিশ্চিত করা না হলেও পরে রাশিয়ার প্রধান তদন্ত সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিস্ফোরকটি ‘ঘরে তৈরি’।
নিহত জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান অপারেশন ডিরেক্টরেটের উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৫ সালে প্যারিসে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে থাকা মোসকালিক সম্পর্কে খুব কমই তথ্য জানা যায়।
রাশিয়ান প্রভাবশালী সামরিক ব্লগ রাইবার জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় মোসকালিক গাড়িতে ছিলেন না তবে কাছের একটি ভবন থেকে বেরিয়ে আসার পরে গাড়িটির কাছাকাছি ছিলেন। সিএনএন স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদনটি যাচাই করতে পারেনি।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, তারা বিস্ফোরণের একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল পরীক্ষা শুরু করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেলে ক্রেমলিনে উইটকফকে অভ্যর্থনা জানান পুতিন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত সিনিয়র রাশিয়ান আলোচক কিরিল দিমিত্রিভের সাথেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আসার পর এটিই উইটকফের রাশিয়ায় চতুর্থ এবং চলতি মাসে দ্বিতীয় সফর।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বৃহস্পতিবার সিবিএস নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মস্কো ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে ‘চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত’। তবে এখনও কিছু নির্দিষ্ট বিষয় রয়েছে যা ‘সূক্ষ্মভাবে সুরক্ষিত’ করা প্রয়োজন।
এর আগে, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর মস্কোতে একটি আবাসিক ভবনের সামনে বৈদ্যুতিক স্কুটারে লাগানো বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন ইগোর অ্যানাটোলেভিচ কিরিললোভ। এতে সঙ্গে থাকা তার সহকারী ইলিয়া পলিকারপভও মারা যান।
সংবাদমাধ্যম তাসের মতে, বিস্ফোরক ডিভাইসটিতে প্রায় ৩০০ গ্রাম টিএনটি বিস্ফোরক ছিল, যা ২০১০ সালের মস্কো মেট্রো বোমা হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল। ওই হামলায় ৪০ জন নিহত ও ৮০ জন আহত হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :