কয়েক দিন আগেই এক শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে খবরের শিরোনামে হন অভিনেত্রী দিশা পাটনীর বোন খুশবু পাটনী। সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা শিশুটিকে উদ্ধার করে ভূয়সী প্রশংসা পান। কিন্তু পেহেলগামের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতেই জড়ালেন বিতর্কে।
খুশবুর দাবি, পেহেলগামের হামলার জবাব হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া যা করেছে, অথবা গাজার সঙ্গে ইসারায়েল যা করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গেও ভারতের তা-ই করা উচিত। এমন মন্তব্যে বিপাকে পড়েছেন দিশার বোন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় খুশবু বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, পেহেলগামে কী হয়েছে। খবরে সবই প্রকাশিত হয়ে গেছে। একেই বলে কলিযুগ। বলা হয়, যুদ্ধই শেষ রাস্তা। সব দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন যুদ্ধ হয়। আমার মনে হয়, সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। ৭৫ বছর ধরে এই পাকিস্তানিদের সহ্য করছি আমরা। ভালোবাসা আর শান্তির নাটক অনেক হয়েছে।’
ধর্মপরিচয় জেনে পর্যটকদের খুন করেছে ‘সন্ত্রাসীরা’। এমনই জানা যাচ্ছে। তাই এই ঘটনাকে ‘ধর্মীয় সন্ত্রাস’ বলেই মনে করছেন খুশবু।
তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে নিজেদেরই মিথ্যা বলি। অবশ্যই এটা ধর্মীয় বিষয়। যেভাবে ধর্মের ভিত্তিতে ওরা খুন করেছে, এ থেকে সবই স্পষ্ট। আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানি সেনাও এ ঘটনায় জড়িত। না হলে ওরা কীভাবে এখানে আসবে।’
সে কারণেই ‘সন্ত্রাসীদের’ দোষারোপ না করে পাকিস্তানের সেনাদের দিকেই আগে আঙুল তোলা উচিত বলে মনে করছেন সাবেক এ ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা।
খুশবু বলেন, ‘ভারতীয় সেনার প্রাক্তন অংশ হিসেবে মনে করি, আমাদের যথেষ্ট শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে। ১৫ লাখের উপর সেনা রয়েছে। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এত ভাবারও দরকার নেই। কাশ্মীরেও যারা নিজেদের দেশবিরোধী মনে করেন, তাদেরও বের করে দেওয়া উচিত। কোনো ধর্মীয় গ্রন্থে নিরীহদের হত্যা করার কথা লেখা আছে? আর কতদিন একের পর এক বিমানহানা হবে। আরও একটা উরি ঘটবে তারপর। এবার যথাযথ যুদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।’
এ মন্তব্য করতেই কটাক্ষের শিকার হতে হয় খুশবুকে। নেটদুনিয়ায় তার দিকে প্রশ্ন তোলা হয়, যুদ্ধের পরিণতি কী হতে পারে আপনি জানেন? আবার কেউ বলেন, গাজার মতো পরিণতি চাইছেন আপনি! পাকিস্তানেও তো বহু সাধারণ নির্দোষ মানুষ রয়েছেন।