কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট পাহেলগামের ‘সন্ত্রাসী’ হামলার পর নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। ‘সন্ত্রাসীদের’ ধরতে শুরু করেছে অভিযান। শনিবার (২৬ এপ্রিল) উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাচিল এলাকায় একটি গোপন আস্তানা ধ্বংস করার দাবি করেছে পুলিশ।
টাইমস অব ইন্ডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ১২ শিখলি মাচিলের সামশা বেহাক বনাঞ্চলে এ অভিযান চালায়। তবে এ সময় কোনো ‘সন্ত্রাসীকে’ আটক করতে পারেনি আভিযানিক দলটি।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো অভিযানে একে-৪৭ রাইফল, ম্যাগাজিন, পিস্তল, গোলাবারুদস বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযান চলাকালে একটি সন্ত্রাসী আস্তানা সফলভাবে সনাক্ত করা হয় এবং ধ্বংস করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি একে-৪৭ রাইফেল, আটটি একে-৪৭ ম্যাগাজিন, একটি পিস্তল, একটি পিস্তল ম্যাগাজিন, ৬৬০ রাউন্ড একে-৪৭ গোলাবারুদ, একটি পিস্তল রাউন্ড এবং ৫০ রাউন্ড এম-৪ গোলাবারুদ।
গত ২২ এপ্রিল পাহেলগামের বৈসরনে অতর্কিত ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় ২৬ জন নিহত ও অন্তত ১৩ জন আহত হন। ঘটনার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে।
যদিও পাকিস্তান দায় অস্বীকার করেছে। বলেছে, কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই যেকোনো ইস্যুতে পাকিস্তানকে দায়ী করা ভারতের স্বভাব। অবশ্য ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ভারতকে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছে পাকিস্তান।
আপনার মতামত লিখুন :