রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম

পাকিস্তানের ভয়ে বাংকার বানাচ্ছে ভারতীয়রা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম

পাকিস্তানের ভয়ে বাংকার বানাচ্ছে ভারতীয়রা

জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ বিভাগে পাকিস্তানের বড় হামলার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। ছবি : ভাস্কর লাইভ

কাশ্মীরের পেহেলগামে ‘সন্ত্রাসী’ হামলার ঘটনায় ‘কূটনীতিক যুদ্ধে’ জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা। পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র দুটি এরই মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে।

সীমান্তে সেনাদের মধ্যে একাধিকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বড় হামলার আশঙ্কা করছে ভারত।

আর আশঙ্কা থেকেই সীমান্তবর্তী অঞ্চলের গ্রামের ভারতীয় বাসিন্দারা বাংকার প্রস্তুত করছেন। এ খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ভাস্কর লাইভ। 

প্রতিবেদন অনুসারে, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ বিভাগে বেশি উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেখানে ভারতের শেষ অংশে সালোত্রি গ্রামে উত্তেজনা বেশি। এরই মধ্যে সেখানে গত দু’দিন গোলাগুলি হয়েছে। এতে সালোত্রি গ্রামের মানুষ সম্ভাব্য বড় হামলা থেকে বাঁচতে তাদের কমিউনিটি বাংকারগুলো পরিষ্কার ও প্রস্তুত করছেন।

এই গ্রামবাসী লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) খুব কাছাকাছি থাকায় তাদের মধ্যে শঙ্কা বেশি। তবে এ শঙ্কার মধ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি সেরে রাখছেন তারা। 

সরকারি এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘পাকিস্তানি সেনারা ছোট অস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। এর জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীও কঠোর জবাব দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

সালোত্রির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাদের এসব বাংকার বানিয়ে দিয়েছে। যেগুলো অনেক শক্তপোক্ত। একই সঙ্গে বুলেটপ্রুফ। এ ছাড়া এগুলো গোলাবর্ষণের সময়ও নিরাপত্তা দেবে। বাংকারগুলো তৈরি করা হয়েছে মাটির ১০ ফুট নিচে।

ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা সীমান্ত এলাকায় বাস করি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেসামরিকদের জন্য যেসব বাংকার দিয়েছেন। এগুলো খুবই শক্তিশালী, বুলেটপ্রুফ এবং মাটির ১০ ফুট নিচে। এগুলোর ভেতর কোনো ঝুঁকি নেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। এখানে আমরা খুবই নিরাপদ বোধ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলাকারীরা যা করেছে তা কাপুরুষোচিত। তারা আমাদের হিন্দু ভাইদের হত্যা করেছে। এ ঘটনার জবাব দেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। যখন ভারতীয় সেনারা জবাব দেবে তখন আমাদের নিরাপদ স্থানে যেতে হবে। এ জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা আমাদের বাংকার নিয়ে প্রস্তুত।’

এদিকে, কারগিল যুদ্ধের সময় এলওসির কাছের হুন্দারমান গ্রামের ২১৭ বাসিন্দা একটি বাংকারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা বাংকারটি এখনো সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তবে এ যুদ্ধের সময় সালোত্রি গ্রামে কোনো বাংকার ছিল না। এখানকার মানুষকে পালিয়ে পুঞ্চ শহরে যেতে হয়েছিল। কিন্তু এখন তাদের গ্রামেই বাংকার আছে।

Link copied!