সব ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার মাধ্যমে সমাহিত করা হয়েছে পোপ ফ্রান্সিসকে। ভ্যাটিকানের সীমানার বাইরে সান্তা মারিয়া মাজ্জোরে ব্যাসিলিকায় তাকে সমাহিত করা হয়।
গত ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো পোপকে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত করা হলো।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) পোপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে চার লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন বলে নিশ্চিত করেছে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, এদিন ভ্যাটিকানে অনুষ্ঠিত হয় পোপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। সেন্ট পিটার্স চত্বরে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলা এ শেষকৃত্য বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়।
এরপর ফ্রান্সিসের কফিনটি দাফনের জন্য রোমের একটি ব্যাসিলিকায় নেওয়া হয়।
ক্যাথলিক চার্চের অন্যতম জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব কার্ডিনাল জিওভান্নি বাতিস্তা রে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। ৯১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার ধর্মোপদেশে ‘সবার প্রতি খোলা হৃদয়ে’ নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্রান্সিসের দক্ষতাকে সম্মান জানান।
আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া ফ্রান্সিস ৮৮ বছর বয়সে গত সপ্তাহে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর পরপরই প্রায় দেড়শ কোটি অনুসারীর ক্যাথলিক চার্চ পোপ বিদায়ের প্রাচীন রীতি ও আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে।
শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার সকাল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পোপের মরদেহ ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ তার কফিনকে আবর্তন করেছেন বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান।
পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলেন।
সূত্র: বিবিসি