বউ আর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ভারতীয় এক যুবক। ৩৪ বছর বয়সি এই যুবকের নাম অতুল সুভাষ। তিনি কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে একটি প্রাইভেট ফার্মে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার ভাই বিকাশ কুমার বলেছেন, আমার ভাইয়ের স্ত্রী তার থেকে আলাদা হওয়ার প্রায় ৪ মাস পরে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন। যে কারণে আমার ভাই ও আমাদের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।
আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোটে সুভাষ লিখেছেন- যদি আমি আইনি লড়াইয়ে জয়ী হই তাহলে আমার মৃতদেহের সঠিকভাবে সৎকার করা হোক। আর যদি আমি হেরে যাই তাহলে আমার দেহ আদালতের পাশে কোনো নর্দমায় ফেলে দিন।
এ ব্যাপারে সুভাষের ভাই বলেন, আমার ভাই তার পরিবারের জন্য সবকিছু করেছে। পরিবারের জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। অথচ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই যদি কখনো আমার সঙ্গে বা আমার বাবার সাথে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে আলোচন করত তাহলে আমরা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতাম। আমরা তাকে এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতাম।
তিনি আরও বলেন, আমি অনুরোধ করতে চাই ভারত সরকারের কাছে, তারা যেন আমার ভাইয়ের মৃত্যুর আসল কারণ উদঘাটন করে সত্যিকারের দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে ন্যায়বিচার করেন। অন্যথায় আমার ভাইয়ের সুইসাইড নোটে যে বিচারকের নাম রয়েছে তার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত।
একটি সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের অনবরত চাপের কারণেই আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন অতুল সুভাষ।
অভিযোগ অতুলের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। তারা অতুলকে শর্ত দিয়েছিলেন ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে তার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন। শুধু তাই নয়। অতুলকে তার একমাত্র নাবালক ছেলের সঙ্গে দেখা করতে হলে ৩০ লাখ টাকা দিতে হবে।
ভিডিও বার্তায় অতুলকে বলতে শোনা যায়, আমার মরে যাওয়াই ভালো। কারণ যে অর্থ আমি উপার্জন করেছি, তার সাহায্যে এখন আমার শত্রুরা তাদের শক্তি বাড়াতে চাইছে। আমার আয় করা টাকা দিয়ে আমাকেই শেষ করে দেওয়া হবে। এ চক্রান্ত চলতেই থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :