প্রতি বছর বায়ু দূষণে ভারতে গড়ে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বায়ু দূষণজনিত কারণে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল, এই ১০ বছরে প্রায় দেড় কোটি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গবেষণার পর, ভয়াবহ এই তথ্য দিয়েছে মেডিক্যাল বিষয়ক সাপ্তাহিক জার্নাল দ্য ল্যানসেট। এছাড়া, দেশটির ১১০ কোটি মানুষ মাঝারি থেকে তীব্র দূষণের মধ্যে বসবাস করে বলে জানিয়েছে তারা।
প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে বায়ু দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের প্রতিটি নাগরিক। প্রায়শই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয় রাজধানী দিল্লি।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল, এই ১০ বছরে ভারতে মৃত্যু হয় প্রায় দেড় কোটি মানুষের। এত মানুষের প্রাণহানির নেপথ্যে একটাই কারণ, বায়ু দূষণ। গবেষণার ভিত্তিতে ভয়াবহ এই তথ্য দিল মেডিক্যাল বিষয়ক সাপ্তাহিক জার্নাল দ্য ল্যানসেট। তবে ভারতের মতো বহুমাত্রিক দেশ থেকে প্রকৃত তথ্য বের করে আনা দূরূহ ব্যাপার বলে বলছেন প্রতিবেদনটির গবেষকরা।
ল্যানসেটের সাথে গবেষণায় যোগ দেন ভারতের হরিয়ানার অশোকা ইউনিভার্সিটি ও দিল্লির ক্রোনিক ডিজিজ কন্ট্রোলের গবেষকরা। তাদের দাবি, ভারতে সারাবছর বায়ুর মান সূক্ষ্ণ কণা-জাতীয় পদার্থ অথবা পারটিকুলার-ম্যাটার থাকে ২ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডে ঝুঁকিপূর্ণ।
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল অ্যামবিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ডস-এর তথ্য মতে, মাঝারি থেকে তীব্র বায়ু দূষণের মধ্যে বসবাস দেশটির ৮২ শতাংশ মানুষের। যেখানে বাতাসের মান সূচক পিএম ২ দশমিক ৫ শতাংশের চেয়ে ঢের বেশি।
বস্তুকণা পিএম-২ দশমিক ৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন, প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে এই মান।
আপনার মতামত লিখুন :