কাশ্মীরের নাম বদলে ঋষি ‘কাশ্যপ’ রাখার ইঙ্গিত দিল অমিত শাহ

ভারতে বিজেপি সরকারের নাম বদলের রাজনীতিতে নতুন নয়। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই একের পর এক মুসলিম ঐতিহাসিক স্থান ও বিভিন্ন শহরের নাম বদলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সেই রাজনীতিতে এবার কাশ্মীরের নাম বদলের ইঙ্গিত দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, আগামী দিনে কাশ্মীরের নাম বদলে বৈদিক যুগের মুনি (ঋষি) কাশ্যপের নামে করা হতে পারে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’র প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিল্লিতে ‘জম্মু-কাশ্মীর অ্যান্ড লাদাখ থ্রু দ্য এজেস’ শীর্ষক একটি বই উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি কাশ্মীরকে কাশ্যপের ভূমি বলা হয়। এমন হতেই পারে যে ওঁর নাম থেকেই কাশ্মীরের নাম এসেছে।’ এই বক্তব্যের পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। তা হলে এবার কাশ্মীরের নাম পাল্টে কাশ্যপ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার?

ওই অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। উন্নয়নের পথে চলতে শুরু করে দিয়েছে। সেখানেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা যা হারিয়েছি, সেটা তাড়াতাড়ি ফিরে পাব। কাশ্মীরি, ডোগরি, বালটি এবং ঝাঁস্করি ভাষাগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।’ এরপর ইতিহাসবিদদেরও নিশানা করেন শাহ। তিনি বলে দেন, ‘লুটিয়েন্স দিল্লিতে বসে ইতিহাস লেখার দিন শেষ। ইতিহাস লিখতে হবে প্রমাণের ভিত্তিতে। শাসককে খুশি করার জন্য আর ইতিহাস লিখবেন না।’

প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই একের পর এক মুসলিম ঐতিহাসক স্থান ও বিভিন্ন শহরের নাম নাম বদলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেমন- এলাহাবাদ হয়েছে প্রয়াগরাজ, মুঘলসরাই হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর, ফৈজাবাদ বদলেছে অযোধ্যায়, ফিরোজাবাদ হয়েছে চন্দ্রনগর, আলিগড়কে হরিগড় করার প্রক্রিয়া চলছে।

তবে কাশ্মীরের মতো রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর একটি রাজ্যের নাম বদল বেশ বিতর্কিত বিষয় হতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।