মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবার গ্রেপ্তারকৃতদের জেরার পর জানা গেল, বাবা সিদ্দিকির পাশাপাশি নিশানায় ছিলেন তাঁর ছেলে জিশানও!
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন কয়েক আগেই হুমকি দেওয়া হয়েছিল সিদ্দিকি পরিবারকে। হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানও।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) অভিযুক্তেরা রিমান্ডে জানিয়েছেন, বাবা-ছেলে দু’জনকেই হত্যার ‘নির্দেশ’ ছিল। সামনে যাকে পাবেন, তাঁকেই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো শনিবার রাতে বাবা সিদ্দিকিকে সামনে পেয়ে গুলি চালান আততায়ীরা।
মুম্বইয়ে বর্ষীয়ান নেতা খুনের ঘটনায় দুই আততায়ী গুরমেল সিংহ এবং ধর্মরাজ কাশ্যপ ছাড়াও এক চক্রীকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ। রোববার তাঁদের মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্ত এক আততায়ীর বয়স নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে তাঁর বয়স নির্ধারণের শারীরিক পরীক্ষাও (অসিফিকেশন টেস্ট) করানো হয়েছে। দুই আততায়ী ছাড়া গ্রেপ্তার তৃতীয় ব্যক্তি সমাজমাধ্যমে লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের হয়ে পোস্ট করা যুবকের ভাই। হত্যার আগে দুই অভিযুক্ত পুণেয় ওই ব্যক্তির ডেরাতেই ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার রাতে নির্মল নগরে নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় এনসিপি (অজিত) নেতা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি ছোড়া হয়। এসময় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় তাঁর। ৯.৯ এমএম পিস্তল থেকে ছোড়া হয়েছিল গুলি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়ি করে তিন জন হত্যাকারী এসেছিল। প্রত্যেকের মুখ রুমালে ঢাকা ছিল। এই হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। শনিবারই শিন্ডে ঘোষণা করেন, এই হত্যা মামলার বিচার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে হবে। এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ দয়া নায়েক ঘটনার তদন্ত করবেন। সঙ্গে মুম্বই পুলিশকে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :