ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে জিম ও নারীদের স্নানাগার বানাল বিএসএফ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম

বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে জিম ও নারীদের স্নানাগার বানাল বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে উন্মুক্ত আকাশের নিচে ৩টি জিমনেসিয়াম এবং নারীদের জন্য টিনশেড দিয়ে কয়েকটি স্নানাগার তৈরি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৩২ ব্যাটালিয়ন।

এ বিষয়ে বিএসএফের এক কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে আরও বেশি জড়িত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর নতুন পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন— সীমান্তের ওই দুর্গম অবস্থানগুলো দেশের শেষ নয় বরং দেশের প্রথম গ্রাম। বিএসএফের মতো সীমান্ত বাহিনীগুলোর উচিত নিরাপত্তা-সংবেদনশীল এসব এলাকার মানুষদের জীবনের উন্নতির জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

অমিত শাহের বক্তব্যের পর বিএসএফের ৩২তম ব্যাটালিয়ন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গেদে, কাদিপুর এবং টুঙ্গি এলাকার সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে তিনটি ওপেন-এয়ার জিম তৈরি করেছে। এই জিমগুলোতে সমান্তরাল বার, কোমর স্ট্রেচার, চেস্ট প্রেস, ফান রাইডার, ল্যাটারাল পুল ডাউন, সিট-আপ ট্রেনার, দ্বি-পার্শ্বযুক্ত রোটেটর এবং তাই চি স্পিনারের মতো সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। শিশু, যুবক এবং বয়স্করা দিনের যে কোনো সময় এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

বিএসএফ কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী ওই এলাকাগুলোর আগাছা এবং ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে এবং তিনটি স্থানে সীমান্ত-সম্পর্কিত বড় বোর্ড লাগানো হয়েছে।

একপর্যায়ে রাস্তার পাশে অবস্থিত পানির লাইনের কাছে নারীদের দৈনন্দিন পরিচ্ছন্নতার জন্য কোনো গোপনীয়তা না থাকার বিষয়টিও নজরে আসে বিএসএফের। বিষয়টি অনুধাবনের পর এই বাহিনী নারীদের জন্য টিনশেড-আচ্ছাদিত গোসলখানাও তৈরি করেছে। ‘নারী সম্মান স্নানঘর’ শিরোনামে ফুলের মোটিফে আঁকা ওই গোসলখানাগুলো স্থানীয় নারীরাই উদ্বোধন করেছেন।

এ বিষয়ে কুমার বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেছেন, নারীরা খোলা জায়গায় স্নান করত এবং তাঁদের কোনো গোপনীয়তা না থাকায় আমাদের খুব খারাপ লাগত। বিএসএফ স্থানীয়দের কাছ থেকে এই বিষয়টি জানতে পেরে উদ্যোগ নিয়েছে। নারীরা এই উদ্যোগে খুব খুশি।

বিএসএফের ৩২তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার সুজিত কুমার বলেন, এই সুবিধাগুলো তৈরি করতে বাহিনীর নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করা হয়েছে। সুজিত বলেন, বিএসএফ এখানে স্থানীয়দের পাশে আছে। সীমান্তের নিরাপত্তা ছাড়াও যেভাবে সম্ভব স্থানীয়দের সাহায্য করার বিষয়টি নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

আরবি/ এইচএম

Link copied!