সাত দিন (১৭৪ ঘণ্টা) দীর্ঘ সময় কুয়োর অন্ধকারেই কাটাচ্ছে ভারতের রাজস্থানের চেতনা। তার জীবিত থাকার আশা এখন ক্ষীণ। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ৮ম দিনে উদ্ধার অভিযান চলমান। উদ্ধারকারী দল জানায়, আর মাত্র দেড় ফুট খুঁড়লেই চেতনার কাছাকাছি পৌঁছনো যাবে!
গত সপ্তাতের সোমবার দুপুরে রাজস্থানের কোটওয়ালে ৭০০ ফুট গভীর একটি কুয়োতে পড়ে যায় তিন বছরের চেতনা। সে দিন থেকেই পুরোদমে চলছে উদ্ধারের কাজ, কিন্তু চেতনাকে উদ্ধার করা যায়নি।
আট দিন ধরে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র সদস্যেরা তাকে উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত উদ্ধারের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার সকালে এনডিআরএফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০ ফুট দূরে কুয়োর সমান্তরালে ১৭০ ফুট গভীর আর একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে। দুই সুড়ঙ্গের সংযোগকারী আরও ১০ ফুটের গর্ত খোঁড়ার কাজ চলছে। তার মধ্যে এ পর্যন্ত আট ফুটেরও বেশি খোঁড়া হয়ে গিয়েছে।
আর মাত্র দেড় ফুট খুঁড়লেই চেতনার কাছাকাছি পৌঁছতে পারবেন তাঁরা। ওই একরত্তি ও উদ্ধারকারীদের মাঝে দেড় ফুট প্রশস্ত শক্ত পাথরের দেওয়াল রয়েছে। ড্রিলিং মেশিন দিয়েও ঘণ্টায় মাত্র ২-৩ ইঞ্চি করে খোঁড়া যাচ্ছে। এ কারণেই উদ্ধারকাজে দেরি হচ্ছে। এনডিআরএফ কর্মী মহাবীর সিংহ জানিয়েছেন, মাটির এত গভীরে খননকার্য চলার ফলে সুড়ঙ্গের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ধুলোর কারণে শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। কিন্তু তাতে দমছেন না উদ্ধারকারীরা। তবে সব ঠিক থাকলে রাতের মধ্যেই চেতনার কাছে পৌঁছে যাবেন তাঁরা।
গত সোমবার খেলতে খেলতে ৭০০ ফুট গভীর ওই কুয়োয় পড়ে যায় চেতনা। প্রথমে সে কুয়োর ১৫ ফুট গভীরে আটকে ছিল। পরিবারের লোকেরা তাকে টেনে বার করার চেষ্টা করতে গেলে উল্টে আরও ১৫০ ফুট গভীরে পড়ে যায় সে। এর পর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। শিশুর যাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের অভাব না হয়, তার জন্য কুয়োর মুখ দিয়ে একটি অক্সিজেন পাইপও প্রবেশ করানো হয়। একটি পাইলিং মেশিনের সাহায্যে শুরু হয় খননের কাজ। সাত দিন ধরে সেই উদ্ধার অভিযান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :