ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

প্রিয়াঙ্কার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কংগ্রেস

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম

প্রিয়াঙ্কার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কংগ্রেস

ফাইল ছবি

ঢাকা: তিন দশক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজনীতির মাঠে থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেননি ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে, দেশটির উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এর মধ্যদিয়ে ভোটের রাজনীতিতে অভিষেক ঘটল গান্ধী পরিবারের আরেক রাজনীতিকের।

দলের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী হাতেখড়িকে স্মরণীয় করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি কংগ্রেস শিবির। দলটির লক্ষ্য, প্রিয়াঙ্কাকে অন্তত পাঁচ লাখ ভোটের ব্যবধানে জেতানো। যদিও ওয়ানড়ের ভোটের হার কিছুটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস নেতাদের।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, স্থানীয় সময় বুধবার শেষ হয়েছে ওয়ানড় আসনের ভোটগ্রহণ। আসনটিতে ভোট পড়েছে ৬৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। এই সংখ্যা ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত লোকসভা কেন্দ্রটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। ভোটার উপস্থিতি যা-ই হোক জয়ের বিকল্প ভাবছে না রাহুল গান্ধীর দল।

আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর প্রায় প্রতিবারই ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ছে ওয়ানড়ে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও ওয়ানড়ে প্রায় ৭৩ শতাংশ ভোট পড়ে। ওই নির্বাচনে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জেতেন রাহুল গান্ধী।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মতো হেভিওয়েট প্রার্থী থাকার পরও ওয়ানড় আসনে এত কম ভোট কেন পড়ল, তার কারণ খুঁজতে শুরু করেছেন বিশ্লেষকরা। কেউ কেউ মনে করছেন, উপনির্বাচনে সরকার বদলের সুযোগ থাকে না। ফলে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহও কম থাকে। তাছাড়া ওয়ানড় অঞ্চলে সম্প্রতি বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। ঘড়ছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী ব্যবস্থায় অনীহা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।

বিশ্লেষকদের কেউ বলছেন, রাহুল গান্ধী যেভাবে ওয়ানড় কেন্দ্র মাঝপথে ছেড়ে রায়বরেলিতে চলে গিয়েছেন, সেটাও ওয়ানড়বাসীর একাংশের পছন্দ হয়নি। ফলে তারা ভোটকেন্দ্রে আসেননি।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সব ফ্যাক্টরই প্রিয়াঙ্কার বিপক্ষে যাচ্ছে। তবে কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর জয়ের ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী। প্রিয়াঙ্কার বিপরীতে ওয়ানড়ে লড়েছেন সিপিআই প্রার্থী সত্যেন মোকেরি ও বিজেপির নব্যা হরিদাস। তারা কেউ প্রিয়াঙ্কাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন না বলে মনে করছে কংগ্রেস।

৫২ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ৩৬ বছরের নব্যা হরিদাস। কেরালার কোঝিকোড পৌরসভার দুই বারের কাউন্সিলর ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নব্যা। তিনি বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন।

Link copied!