প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে অভিষেক ঘটেছিল অনেকদিন আগেই। বহু নির্বাচনী প্রচারেই তাঁকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু আগে কখনও নির্বাচনে লড়েননি। তবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) কেরলের ওয়েনাড় লোকসভার উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়লেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা।
সঙ্গে ছিলেন মা সনিয়া গান্ধী ও দাদা রাহুল গান্ধী। গিয়েছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে একটি ‘রোড শো’ করেন প্রিয়ঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল। এর আগে গতকাল মঙ্গলবারই ওয়েনাড়ে পৌঁছেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন সনিয়াও। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
এবারের লোকসভা ভোটে ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী থেকে লড়েছিলেন রাহুল। দু’টি কেন্দ্রেই দাদার প্রচারে অংশ নেন প্রিয়ঙ্কা। লোকসভা ভোটে দু’টি আসন থেকেই সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল। এরপর গত ১৭ জুন রায়বরেলী ধরে রেখে ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, প্রিয়ঙ্কা ওই আসনে উপ-নির্বাচনে লড়বেন। উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরেই কংগ্রেসের তরফে ওয়েনাড়ে প্রার্থী হিসাবে প্রিয়ঙ্কার নাম জানানো হয়।
এবার ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কার মূল লড়াই প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যন মোকেরি এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাসের বিরুদ্ধে। নব্যা কোঝিকোড় পৌরসভা ভোটে দু’বার জয়ী হয়েছেন।
গত এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে ওয়েনাড়ে রাহুলের বিরুদ্ধে সিপিআইয়ের প্রার্থী ছিলেন দলের জাতীয় স্তরের নেত্রী অ্যানি রাজা। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী।
প্রসঙ্গত, রাহুলের ছেড়ে দেওয়া ওয়েনাড় কেন্দ্রে আগামী ১৩ নভেম্বর উপ-নির্বাচন হবে। ভোট গণনা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৫ রাজ্যের মোট দু’টি লোকসভা ও ৪৮টি বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট গণনাও হবে ওই দিন।
আপনার মতামত লিখুন :