ঢাকা রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন

পাকিস্তান ও তুরস্ক থেকে শাহরিয়ার কবিরের মুক্তির দাবি

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম

পাকিস্তান ও তুরস্ক থেকে শাহরিয়ার কবিরের মুক্তির দাবি

ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির (ঘাদানিক) উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি ও লেখক শাহরিয়ার কবিরের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন পাকিস্তান ও তুরস্কের মানবাধিকার কর্মীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ‘মৌলবাদী জঙ্গি শক্তির’ বিরুদ্ধে সদা সরব ছিলেন শাহরিয়ার কবির। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে মুক্তির দাবি করেছেন পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী তাহিরা আবদুল্লা ও তুরস্কের নাট্যকর্মী, কবি ও মানবাধিকার আন্দোলনকারী তারিখ গুনেরসেল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাহিরা আবদুল্লা লিখেছেন, শাহরিয়ার কবিরকে যে মামলায় জড়ানো হয়েছে, তা ভয়ংকর এবং উদ্বেগজনক। অবশ্যই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। আশা করব, তার খুব ভালো আইনজ্ঞ রয়েছেন এবং বাংলাদেশে পুলিশি হেফাজতে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষায় তাকে গণপ্রহারে মেরে ফেলার আশঙ্কা নেই। আইনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিষয়টি চলবে বলে আশা করা যায়।’ শাহরিয়ার কবির এবং আরও যে সব রাজনৈতিক কর্মী এবং সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা সুষ্ঠু বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তাহিরা।

অপরদিকে, শাহরিয়ার কবিরকে পরম ঘনিষ্ঠজন উল্লেখ করে তারিখ গুনেরসেল বলেছেন, তাকে গণপ্রহার করার ইন্ধন জোগানো চলছে। আমি কিছু মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আশা করি, শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর কয়েকটি থানায় দায়ের হওয়া একাধিক হত্যা মামলার এজাহারে আসামির তালিকায় শাহরিয়ার কবিরের নাম রয়েছে।

এছাড়া, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব (শিক্ষা ও আইন) মুফতি হারুন ইজাহার চৌধুরী গত ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ঘিরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও ২৩ জনের বিরুদ্ধে। ওই তালিকায়ও শাহরিয়ার কবিরের নাম রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শাহরিয়ারকে আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো পায়েল হোসেন ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্যাহ তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরবি/ এইচএম

Link copied!