ঢাকা সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
শ্রীলঙ্কা

দিনমজুরের থেকে নতুন প্রেসিডেন্ট

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ১২:৩২ পিএম

দিনমজুরের থেকে নতুন প্রেসিডেন্ট

ছবি সংগূহীত

ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনা শেষে দুই বছরের বেশি সময় পর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেল শ্রীলঙ্কা। ঐতিহাসিক দ্বিতীয় দফার ভোট গণনা শেষে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বামপন্থী রাজনীতিবিদ অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। রবিবার রাত ৮টায় দেশটির নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানায়।

কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের নেতা হিসেবে অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। দিশানায়েকে ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়াগার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট। মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে।

আলোচনার মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে কে এই অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে? 
তার পুরো নাম দিশানায়েকে মুদিয়ানসেলাগে অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে।  শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অনুরাধাপুরা জেলার থাম্বুতেগামা গ্রামে ১৯৬৮ সালের ২৪ নভেম্বর এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে দিশানায়েকের জন্ম। বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর ও মা গৃহিণী।

দিশানায়েকে থাম্বুথেগামা গামিনি মহাবিদ্যালয় ও থাম্বুথেগামা সেন্ট্রাল কলেজে পড়াশোনা করেন। কলেজে পড়াকালীন সময়েই দিশানায়েকে ছাত্ররাজনীতিতে অংশ নেন। তিনি ১৯৮৭ থেকে ৮৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জয়াবর্ধনে এবং আর প্রেমাদাসার ‘সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদী’ শাসনের বিরুদ্ধে জেভিপির সশস্ত্র বিদ্রোহে যোগ দেন। পরে তিনি পেরাদেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং হুমকির কারণে কয়েক মাস পর সেখান থেকে চলে যান। এক বছর পর ১৯৯২ সালে কেলানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ৯৫’ সালে শারীরিক বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

মার্কসবাদী এ নেতা ১৯৯৫ সালে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র সমিতির জাতীয় সংগঠক এবং পরে জেভিপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে নিযুক্ত হন। ১৯৯৮ সালে তিনি জেভিপির পলিট ব্যুরোর সদস্য হন। ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কার সংসদ নির্বাচনে তিনি জেভিপির জাতীয় তালিকা থেকে সংসদে যান এবং ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে জেভিপি শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। সে সময় তার দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের (ইউপিএফএ) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদে ৩৯টি আসনে জয়লাভ করে। দিশানায়েকে তখন কুরুনেগালা জেলা থেকে নির্বাচিত হয়ে এসএলএফপি-জেভিপি সরকারের কৃষি, পশুসম্পদ, ভূমি ও সেচ মন্ত্রী হন। পরবর্তীতে সুনামির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ও পূর্ব প্রদেশগুলোতে ত্রাণ সমন্বয়ের জন্য এলটিটিইর সাথে রাষ্ট্রপতি কুমারানাতুঙ্গা সরকারের বিরোধ সৃষ্টি হয়।

দিশানায়েকে অন্যান্য জেভিপি মন্ত্রীদের সঙ্গে ২০০৫ সালের ১৬ জুন পদত্যাগ করেন। এছাড়া তিনি সেপ্টেম্বর ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরবি/এস

Link copied!