নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। বিক্ষোভের পাশাপাশি কর্মবিরতি পালন করছেন দেশটির চিকিৎসকরা। হাসপাতালগুলোতে সীমিত আকারে শুধু জরুরি চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা। কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির তথ্য অনুসারে, সোমবার চিকিৎসকদের সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ফোরডা) হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকেও পাঠিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
চিঠিতে চিকিৎসকের সম্ভ্রম ও জীবন রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য ফোরডা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের ওপর যেন কোনো ধরনের দমন-পীড়ন চালানো না হয় এবং অপরাধীদের বিচারে যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেই দাবিও জানায় সংগঠনটি। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে কলকাতার বেশিরভাগ হাসপাতালের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আর জি কর হাসপাতালের চারতলায় দায়িত্ব পালন শেষে বিশ্রাম নেওয়া এক চিকিৎসকের (৩১) মরদেহ পাওয়া যায়। সেদিন থেকেই ওই নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ তুলেন সহকর্মীরা।
এছাড়া ভারতে ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পুলিশি হেফাজতে, হাসপাতালে বা রিমান্ড হোমে থাকাকালীন অন্তত ২৭৫ জন নারীকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে বলে সরকারি পরিসংখ্যানেই জানানো হয়। ‘কাস্টডিয়াল রেপ’ বা হেফাজতে থাকাকালীন (ওই ছয় বছরে নথিভুক্ত হওয়া) ধর্ষণের ঘটনার এই তথ্য প্রকাশ করে ভারতের ন্যাানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো।
আপনার মতামত লিখুন :