বাংলাদেশে টানা ৩৬ দিনের গণআন্দোলনে নতুন এক ইতিহাস রচিত হয়। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে প্রাথমিকভাবে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বড় পরিসরে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ক্রমেই স্বৈরাচার হয়ে ওঠা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেতে থাকে আন্দোলন। পতন হয় হাসিনা সরকারের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইকে সম্প্রতি একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
তবে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি ভালোভাবে দেখছে না ভারত। ভারতীয় কয়েকটি সূত্র সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলেছেন, এই সাক্ষাৎকারের কারণে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূস ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নাও হতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে ভারতকে একটি প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। এ নিয়ে এখনো ভারত থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব আসেনি। কারণ নিউইয়র্কে মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
প্রসেফর ইউনূস পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে যেসব দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সেগুলো উচিত নয়। তিনি প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানোর আগ পর্যন্ত হাসিনাকে চুপ থাকার আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে সবার সামনে বিচার করা হবে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলকে ভারত যে ইসলামিক দল মনে করে সেটিও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :