অবশেষে ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতির অবসান ঘটতে যাচ্ছে পশ্চিমার আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্ট। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বার্ষিক ভাষণে আইভরি কোস্ট প্রেসিডেন্ট আলাসেন ওউত্তারা জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে ফরাসি সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। খবর ডয়চে ভেলে।
ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ দেশ বুর্কিনা ফাসো, মালি, গিনি, গেবন, চাদ এবং নাইজারের মতো আইভরি কোস্টেও ফরাসি বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ছে।
জাতির উদ্দেশে বছরের শেষের ভাষণে ওউত্তারা বলেন, আইভরিয়ানদের তাদের নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ রাষ্ট্রের জন্য গর্বিত হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, এই প্রেক্ষাপটে আমরা ফরাসি বাহিনীর সমন্বিত ও সংগঠিত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নভেম্বরে রয়টার্সকে সূত্র জানিয়েছে, ফ্রান্স আইভরি কোস্ট সহ পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে তার সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে এখন প্রায় ২২০০ থেকে ৬০০ সেনা করার কথা বিবেচনা করছে। এটি শুধুমাত্র আইভরি কোস্টের জন্য নয়, পশ্চিম আফ্রিকায় ফ্রান্সের ভূমিকার হ্রাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়া আফ্রিকার সব কটি দেশেই ছিল ফ্রান্সের মদদপুষ্ট সরকার। যেখানে তাদের নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। স্বৈরাচারী ধারার এসব গণতান্ত্রিক নেতারা ছিলেন জনবিচ্ছিন্ন ও জনস্বার্থবিরোধী। তারা বছরের পর বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন ফ্রান্সের পৃষ্ঠপোষকতায়। এ রাষ্ট্রগুলোকে স্বাধীনতা দেওয়া হলেও, তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ মূলত উপনিবেশ বা তাদের কোম্পানিগুলোর হাতে।
আপনার মতামত লিখুন :