ঢাকা শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৪
ইসরাইল-ইরান

বন্ধু থেকে শত্রু

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৪, ১১:২৮ এএম

বন্ধু থেকে শত্রু

ফাইল ছবি

ইসরাইল-ইরান সংঘাতে উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতেও যুদ্ধের আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। ইসরাইলি ভূখণ্ডে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এদিকে তেল আবিবের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছে ওয়াশিংটন। অপরদিকে তেহরানও পালটা হামলার হুমকি দিয়েছে। ফলে যুদ্ধের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে পুরো মধ্যপ্রাচ্য। এমনকি এর প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে।

তবে ইসরাইল ও ইরান বর্তমানে একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক অবস্থানে থাকলেও দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক কিন্তু এখনকার মতো তিক্ত ছিল না। বরং বলা যেতে পারে, তাদের মধ্যে মধুর সম্পর্কই বিদ্যমান ছিল। এমনকি নিজেদের অভিন্ন শত্রু ইরাকের বিরুদ্ধে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্কও বিদ্যমান ছিল।

মূলত ইরানের ইসলামি বিপ্লব পূর্বের রাজতান্ত্রিক শাসক রেজা শাহ পাহলভির শাসনামলেই এই সম্পর্ক জোরদার হলেও এমনকি ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ৮০-এর দশকে তৎকালীন বিপ্লবী সরকারের আমলেও দুই দেশের মধ্যে গোপনে সামরিক সম্পর্ক বজায় ছিল। গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের দখলদারি অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে এই বিষয়টি অসম্ভব হিসেবে মনে হলেও বিগত শতাব্দীর ৮০-এর দশকে তৎকালীন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেখা হলে বিষয়টি মোটেও আশ্চর্যজনক মনে হবে না।

কারণ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সে প্রাচীনকাল থেকেই ‘শত্রুর শত্রু বন্ধু’ এই নীতি ব্যাপকভাবে চর্চা হয়ে আসছে। এই নীতির অংশ হিসেবেই ৮০-এর দশকে  উভয়ের সাধারণ শত্রু ইরাকের সাদ্দাম হোসেনকে শায়েস্তা করতে একাট্টা হয়েছিল ইসরাইল ও খোমেনির নেতৃত্বাধীন ইরানের বিপ্লবী সরকার। প্রকাশ্যে না হলেও অত্যন্ত গোপনে তাদের মধ্যে অব্যাহত ছিল সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা।

আরবি/জেআই

Link copied!