ডলার-সংকটের কারণে ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর ১০০ কোটি ডলারের বেশি বকেয়া পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার জোগান না থাকায় বকেয়া পরিশোধের নানামুখী প্রচেষ্টায় সফল হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র ও নথির বরাত দিয়ে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি ও পণ্য আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় বকেয়া মেটাতে সংকটে আছে বাংলাদেশ। নজিরবিহীন বিক্ষোভে গত আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সংকট আরও বেড়েছে।
ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলোর কাছে জরুরি ভিত্তিতে ৫০০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদের হারও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংকট থেকে উত্তরণে গত বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ৪৭০ কোটি ডলার চেয়েছিল বাংলাদেশ।
ভারতীয় বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আমরা বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করছি। কিন্তু ডলার-সংকট এই প্রচেষ্টাকে খুবই জটিল করে তুলছে।
বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুতের দাম বাবদ ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি পাওনা ভারতের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর। এর মধ্যে প্রায় ৮০ কোটি ডলার আদানি পাওয়ারের কাছে বকেয়া আছে বলে যোগ করেন তিনি। এই বিষয়ে আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে মন্তব্য চাইলেও জবাব মেলেনি।
আপনার মতামত লিখুন :