গেল ২৪ ঘণ্টার সংঘর্ষে ইউক্রেনের ১২০০ সৈন্য নিহত, একটি Su-27 যুদ্ধবিমান এবং ৬টি HIMARS রকেট ও ৯৭টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর একটি Su-27 যুদ্ধবিমান, ৬টি মার্কিন নির্মিত HIMARS রকেট এবং ৯৭টি নির্দিষ্ট উইং ড্রোন ধ্বংস করেছে’।
ব্যাটলগ্রুপের কার্যক্রম-
ব্যাটলগ্রুপ ওয়েস্ট: দোনেৎস্ক এবং খারকিভ অঞ্চলে দুটি ইউক্রেনীয় মেকানাইজড ব্রিগেড এবং তিনটি টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স ব্রিগেডকে আঘাত করেছে। এতে ইউক্রেনের ৪৬০ জন সৈন্য নিহত, তিনটি সাঁজোয়া যান, চারটি পিকআপ, একাধিক আর্টিলারির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ব্যাটলগ্রুপ ইস্ট: দোনেৎস্ক অঞ্চলে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে ইউক্রেনীয় সেনাদের পরাজিত করেছে। এতে ১৬০ ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত এবং একটি HMMWV সাঁজোয়া যান, দুটি আর্টিলারি ধ্বংস হয়েছে।
ব্যাটলগ্রুপ নর্থ: খারকিভ এলাকায় একাধিক ইউক্রেনীয় ব্রিগেডকে পরাজিত করেছে। এতে ইউক্রেনের ৪০ সৈন্য নিহত ও তিনটি D-30 122 mm হাউইটজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্যাটলগ্রুপ সাউথ: দোনেৎস্ক অঞ্চলে শত্রুর প্রতিরক্ষা ভেঙে আরও গভীরে প্রবেশ করেছে। এতে ইউক্রেনের ২১০ সৈন্য নিহত এবং একটি তুরস্ক-নির্মিত Kirpi সাঁজোয়া যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্যাটলগ্রুপ ডিনেপ্রো: খেরসন অঞ্চলে শত্রু বাহিনী ও সরঞ্জামে আঘাত করেছে। এতে ইউক্রেনের ৯০ জন সৈন্য নিহত এবং তিনটি ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।
ব্যাটলগ্রুপ সেন্টার: দোনেৎস্ক অঞ্চলে শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করে কৌশলগত অবস্থান উন্নত করেছে। এ সময় ইউক্রেনের ২৪০ সৈন্য নিহত এবং একটি Kozak সাঁজোয়া যান, দুটি D-20 হাউইটজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের ক্ষতি: গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে সংঘর্ষে ইউক্রেনের ৫৮০ জন সৈন্য নিহত এবং একটি ট্যাংক, ৯টি সাঁজোয়া যান ও ৩৬টি মোটর যান ধ্বংস হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, এ নিয়ে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৭,০৪০ জনের বেশি সৈন্য, ৬৫১টি বিমান, ২৮৩টি হেলিকপ্টার, ৩৯,১৪৪টি ড্রোন, ২০,১৩৭টি ট্যাংক এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যান ধ্বংস করা হয়েছে।
রাশিয়ার এই বিবৃতিতে ইউক্রেনের ওপর সাফল্যের যে দাবি করা হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য ইউক্রেন এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে এখনো পৃথক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র, তাস
আপনার মতামত লিখুন :