ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

‘নেতানিয়াহুই গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ার জন্য দায়ী’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম

‘নেতানিয়াহুই গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ার জন্য দায়ী’

ছবি, সংগৃহীত

ঢাকা: গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ার জন্য দায়ী যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু। আরও একবার গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে ব্যাহত করার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার কান মঙ্গলবার আলোচনাকারী দলের সূত্রের বরাত দিয়ে এ অভিযোগের কথা জানিয়েছে।

ইসরাইলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, অভিযোগটি গাজায় ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক বৈঠক সম্পর্কে মিডিয়ায় যে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তার সঙ্গে মিলে যায়। নেতানিয়াহু সে সময় স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে অনিশ্চিত ছিলেন।

ইসরাইলের আলোচনাকারী দলের সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলোর লক্ষ্য ছিল আলোচনাকে নাশকতা করা’। কান জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সচেতন যে ইসরাইলিরা একটি সংকটময় সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। কারণ ইসরাইলি বাহিনী ফিলাডেলফি করিডোর এবং নেটজারিম প্যাসেজের সমাধান খুঁজতে কাজ করছে। ইসরাইলি সরকার এ বিষয়টিকে পরবর্তী বৈঠকের আগে উপস্থাপন করবে বলেও ঠিক করেছে। যেটি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কায়রোতে অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এ বৈঠকের তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, তবে নেতানিয়াহু এমন সব বিবৃতি দিচ্ছেন, যা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে একমত হওয়া বিষয়গুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। গাজায় বন্দি ইসরাইলিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের সময় দেশটির সংবাদমাধ্যম মারিভ জানায়, নেতানিয়াহু বলেছেন- ইসরাইল কোনো অবস্থাতেই এমনকি প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও ফিলাডেলফি করিডোর এবং নেটজারিম প্যাসেজের দখল ছাড়বে না।

গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একাধিক প্রস্তাব উঠেছে। কাতার, তুরস্ক, মিসরসহ যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় প্রথম যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ২২ নভেম্বর। সে সময় চার দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ওঠে। ১৫০ জন বন্দি ফিলিস্তিনির বদলে ৫০ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তাও দেওয়া হবে।

যদিও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব সাময়িকভাবে মেনে নেন। তবে যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতি জানান তিনি। চার দির পর দখলদার ইসরাইল আবার পূর্ণমাত্রার গাজায় আক্রমণ শুরু করে। 

আরবি/এস

Link copied!