চলতি বছর এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে বিস্ময়করভাবে জাতিসংঘের ২৮১ জন সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন। এতে করে মানবতাবাদীদের কাছে ২০২৪ সাল হয়ে উঠেছে সবচেয়ে মারাত্মক বছর। জাতিসংঘ সাহায্য প্রধান শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এ তথ্য জানান।
জেনেভা থেকে এএফপি জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক নতুন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক টম ফ্লেচার বলেন, ‘বুলেট ও সমুখীন হয়ে মানবতাবাদী কর্মীদের নজিরবিহীন হারে হত্যার শিকার হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালজুড়ে ৩৩টি দেশে ২৮০ জন মানবতাবাদী নিহত হয়েছে। অথচ ২০২৪ সাল শেষ হতে এক মাসেরও বেশি সময় বাকি থাকতেই এ সংখ্যা ভয়াবহ মাইলফলক স্পর্শ করেছে।’
ফ্লেচার বলেন, ‘সহায়তা কার্যক্রমের জন্য এই সহিংসতা অযৌক্তিক ও ধংসাত্মক।’
জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস বলেছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে সূত্রপাত হওয়া গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ এই নিহতের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে এ যাবত ৩৩৩ জন সাহায্যকর্মী নিহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী জাতিসংঘ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর সদস্য।
ফ্লেচার বলেন, রাষ্ট্র ও সংঘাতের সব পক্ষকে অবশ্যই মানবতাকর্মীদের রক্ষা করতে হবে, আন্তর্জাতিক আইনকে সমুন্নত রাখতে হবে, দায়ীদের বিচার করতে হবে।
আফগানিস্তান, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সুদান এবং ইউক্রেনসহ বেশকিছু দেশে সাহায্য কর্মীরা অপহরণ, আঘাত, হয়রানি ও নির্বিচারে আটকের শিকার হয়েছেন।
ফ্লেচারের কার্যালয় আরও জানায়, নিহতদের বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থা, জাতিসংঘ সংস্থা এবং রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের সাথে কাজ করা স্থানীয় কর্মী।
‘মানবতাবাদী কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করার একটি বিস্তৃত প্রবণতার অংশ’ বলে কার্যালয় সতর্ক করেছে।
গত বছর ১৪টি সশস্ত্র সংঘাতে ৩৩ সহস্রাধিক বেসামরিক মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭২ শতাংশ বেশি।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং সাহায্য কর্মীদের বিরুদ্ধে হুমকির প্রতিক্রিয়ায় গত মে মাসে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :