আর কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আগামী চার বছর বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণে কে প্রভাব বিস্তার করবে দেশটির নির্বাচন। শুধু রাজনীতি নয়, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে এ নির্বাচনের ওপর। তাইতো বিশ্ববাসীর চোখের কেন্দ্রবিন্দু এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এবং কমালা হ্যারিস কিংবা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প— যিনিই বিজয়ী হোন— দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় যুক্ত করতে যাচ্ছে এই নির্বাচন।
কারণ যদি কমালা হ্যারিস জয়ী হন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট, তাহলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি জয়ী হন, সেক্ষেত্রে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন একজন ব্যাক্তিকে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে পাবে যুক্তরাষ্ট্র— যিনি ইতোমধ্যে ফৌজদারি মামলায় দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন।
তবে এই মুহূর্তে শেষ বেলার প্রচারণায় ব্যস্ত আছেন দুই প্রার্থী। গতকাল সোমবার ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প গতকাল এক নর্থ ক্যারোলাইনায় এক প্রচারণা সভায় বলেন, “আমি এমনকি ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছি না। গত ৬২ দিনের একটি দিনও ছুটি নিই নি। যদি এই নির্বাচনে আমরা হেরে যাই, তাহলে সেটির দায় হবে একান্তই আমাদের। তবে যদি আমরা সব নাগরিকের ভোট নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমাদের জয় কেউ আটকাতে পারবে না।”
সূত্র: বিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :