ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশকে ‘কঠোর বার্তা’ দেবেন ট্রাম্প!

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৪, ০১:৪০ পিএম

বাংলাদেশকে ‘কঠোর বার্তা’ দেবেন ট্রাম্প!

ছবি: সংগৃহীত

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কঠিন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ ও ‘মুসলিমস ফর ট্রাম্প’ সংগঠনের প্রধান সাজিদ তারার। সেসঙ্গে ট্রাম্প বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানান তিনি।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন সাজিদ তারার। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এশিয়ান লাইট ইন্টারন্যাশনাল।

সাজিদ তারার বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) বাংলাদেশের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পর্যবেক্ষণ করছেন। আমার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশকে কঠোর বার্তা দেবেন।’

তারারের মতে, ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব উভয়ের জন্যই ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো শপথ নেননি; কিন্তু (বিশ্ব এরই মধ্যে) প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন। ভারত ছাড়া পুরো বিশ্ব এখন অস্বস্তিতে আছে। বিশ্ব এখন একজন নেতা পেয়েছে।’

প্রভাবশালী এই পাকিস্তানি-আমেরিকান ব্যবসায়ী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক অভাবনীয় প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর দিকেও বিশেষ নজর রাখবেন।

সাজিদ তারারের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে ট্রাম্প সচেতন। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরাসরি হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে ইউনূস বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ট্রাম্প সমর্থক এ মার্কিন ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘আসলে এখানে একটি ইতিহাস আছে যে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াই করছিলেন, তখন তিনি (ড. ইউনূস) হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করেছিলেন।’

এর আগে, গত ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ। অভিযোগ রয়েছে, তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং মন্দির ধ্বংসের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে।

আরবি/এফআই

Link copied!