ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল জলবায়ু চুক্তি নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এতে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার নির্বাহী আদেশের পাশাপাশি কিছু জাতীয় স্মৃতিচিহ্নের আকার ছোট করার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে তেল ও খনিজ দ্রব্য উত্তোলনের কাজ বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের শুক্রবার (৮ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির স্থগিতাদেশও তুলে নিতে পারেন। ফলে এশিয়া ও ইউরোপের বৃহৎ বাজারে রফতানির নতুন অনুমোদন আসতে পারে। এছাড়া, ক্যালিফোর্নিয়া ও অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণের কঠোর আইনেও শিথিলতা আনতে পারেন তিনি।
নির্বাচনি প্রচারণাকালে এসব পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ট্রানজিশন টিমের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, নির্বাচনে জয়লাভের কারণে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন তিনি। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন।
জানুয়ারিতে বাইডেন প্রশাসন নতুন এলএনজি রফতানি অনুমোদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল। জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা সম্পন্ন করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বছরের শেষের আগেই এই গবেষণার খসড়া জনমত যাচাইয়ে ৬০ দিনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ট্রানজিশন টিমের কিছু সদস্য পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার সদর দফতর ওয়াশিংটন থেকে সরানোর বিষয়ে আলোচনা করছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :