বিনামূল্যে ফ্ল্যাট গ্রহণ, রাজনৈতিক প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো থিংকট্যাঙ্কের সঙ্গে সম্পর্ক, এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের কারণে চাপের মধ্যে পড়ে অবশেষে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তার জায়গায় অর্থনৈতিক সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন এমা রেনল্ডস। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এই পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট, যা দেশটির সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
প্রতিবেদনে জানানো হয়, এমা রেনল্ডস পূর্বে ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস (ডিডব্লিউপি) মন্ত্রণালয়ের পেনশন মন্ত্রী ছিলেন এবং একইসঙ্গে জুনিয়র ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পরপরই এই পুনর্গঠন ঘোষণা করা হয়। এমা রেনল্ডসের পূর্ববর্তী দায়িত্বে নিয়োগ পেয়েছেন টরস্টেন বেল, যিনি রেজলিউশন ফাউন্ডেশন থিংকট্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী এবং এড মিলিব্যান্ডের সাবেক নীতিনির্ধারণী প্রধান ছিলেন। তিনি সাম্প্রতিক নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন এবং প্যাট ম্যাকফ্যাডেনের সংসদীয় ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগপত্রে কি বললেন টিউলিপ সিদ্দিক?
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার সময় প্রকল্পের মোট ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মূলত টিউলিপ সিদ্দিকের খালা, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন একটি তদন্ত শুরু করেছে, যার আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকও পড়েছেন। এছাড়া শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগও রয়েছে টিউলিপের বিরুদ্ধে।
তবে সমালোচনার জবাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে টিউলিপ সিদ্দিক জানিয়েছেন, তিনি মন্ত্রিত্বের কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেননি এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অনুচিত কাজের প্রমাণও নেই। তবুও বিভ্রান্তি এড়াতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :