শান্তিরক্ষী বাহিনীকে লেবাননে রাখার সিদ্ধান্তে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং সেনা সহায়তা করা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পূর্ণ সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান।
ইসরায়েলের আহ্বান উপেক্ষা করে জাতিসংঘ জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের শান্তিরক্ষীরা নিজ নিজ অবস্থানেই থাকবে।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রধান জ্য পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, ইউনিফিল বাহিনীকে লেবাননে রাখার সিদ্ধান্তে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং সেনা সহায়তা করা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পূর্ণ সমর্থন আছে।
এর আগে গত রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে সরাসরি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন দক্ষিণ লেবাননের ঘাঁটি থেকে শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে নিতে। সেখানকার শান্তিরক্ষীরা হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মানবঢাল হিসাবে কাজ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
কিন্তু জাতিসংঘ নিজ অবস্থানেই অটল রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান বলেছেন, নীল হেলমেটধারীরা যেখানে আছে সেখানে থাকাটা অপরিহার্য। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাদেরকে যে ম্যান্ডেট দিয়েছে তা তাদেরকে পালন করতে হবে এবং সাধারণ মানুষকে সহায়তা করতে হবে।
দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই চলাকালে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে দুই শান্তিরক্ষী আহত হওয়ার পর গত সপ্তাহে দক্ষিণ লেবাননে পঞ্চম আরেকজন শান্তিরক্ষী আহত হন।
এরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে অবিলম্বে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ইসরায়েল বলেছিল, আমরা ইউনিফিল সেনাদের আহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখিত। আমরা এমন ঘটনা প্রতিরোধ করতে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু এই আহত হওয়া এড়ানোর সবচেয়ে সহজ এবং নিশ্চিত পথ হচ্ছে তাদেরকে বিপজ্জনক এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া
ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, জাতিসংঘ লেবানন সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহর সুড়ঙ্গ তৈরি এবং রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অস্ত্র মজুত বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে; যা ২০০৬ সালের যুদ্ধর পর পাস হওয়া জাতিসংঘ প্রস্তাবনা ১৭০১ আওতায় বজায় রাখার কথা ছিল।
তবে জাতিসংঘ বলছে, ওই চুক্তি প্রয়োগ করা তাদের কাজ নয় বরং সংঘাতে বিভিন্ন পক্ষকে সহায়তা করা তাদের কাজ। শান্তিরক্ষীদের ঘাঁটিগুলোকে ইচ্ছা করে নিশানা বানানোর জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘ।
আপনার মতামত লিখুন :