ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন

কার পক্ষে যাবে মুসলিমদের ভোট?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ১০:৩৯ এএম

কার পক্ষে যাবে মুসলিমদের ভোট?

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরেই শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। প্রথমবারের মতো কমলা হ্যারিস নাকি দ্বিতীয়বারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প, আগামী চার বছর বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণে কে প্রভাব বিস্তার করবে, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। কারণ শুধু রাজনীতি নয়, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে এ নির্বাচনের ওপর। তাইতো বিশ্ববাসীর চোখের কেন্দ্রবিন্দু এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।

এবারের নির্বাচনটা অন্যবারের তুলনায় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ এবার বিশ্বব্যাপী নানা সহিংসতা চলছে। আর এ কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিম আমেরিকানরা এবার কোন পক্ষ নেবেন- এ প্রশ্নটি বেশ কয়েকদিন ধরে বেশ জোরালোভাবেই আলোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে, গাজা যুদ্ধ ও অন্যদিকে, লেবাননে সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতের কারণে এবারের নির্বাচনে মুসলিমরা কাকে বেছে নেবেন, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।

যদিও সংখ্যার বিচারে মুসলমানরা মার্কিন জনসংখ্যার খুব বেশি নয়। মাত্র এক শতাংশ। কিন্তু মিশিগান ও পেনসিলভেনিয়ার মতো তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যগুলোতে মুসলিমদের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক ভূমিকা পালন করে। আর এই বছরের মুসলিম ভোটের ক্ষেত্রে মূল ইস্যু হলো- গাজা যুদ্ধ।

গাজার নির্মম ভয়ংকর যুদ্ধে বাইডেন-কমলা প্রশাসনের ভূমিকায় আমেরিকান মুসলমানরা হতাশ। ফিলিস্তিনিদের অমানবিক দুর্দশার জন্য ডেমোক্র্যাটদের প্রতি তাদের ঘৃণা রয়েছে।

অন্যদিকে, তারা ভোলেননি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা। ৯/১১ পরবর্তী সময়ে রিপাবলিকানদের ইসলামফোবিয়া অব্যাহত রাখার কথাও তাদের ভোলার কথা নয়।

নির্বাচনী জরিপ বলছে, প্রায় ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ভোট দেবেন কমলা হ্যারিসকে, যা ডেমোক্র্যাটদের জন্য মোটেই ভালো সংবাদ নয়। আমেরিকান মুসলিমদের মধ্যে ২০১৬ সালে ৬৫ শতাংশ হিলারি ক্লিনটনকে ও ২০২০ সালে ৮০ শতাংশ জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন। বারাক ওবামার ক্ষেত্রে এই অনুপাত ছিল ২০০৮ সালে ৮০ শতাংশ ও ২০১২ সালে ৯২ শতাংশ।

অনেকে মনে করছেন, কমলা হ্যারিসকে প্রত্যাখ্যানকারী মুসলিম আমেরিকানরা ট্রাম্পকে ভোট দিতে পারেন। বেছে নিতে পারেন তৃতীয় কোনো প্রার্থীকে অথবা ভোট দেওয়া থেকে পুরোপুরি বিরতও থাকতে পারেন। তবে মুসলিম আমেরিকানরা মনে করেন যে নির্বাচন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে ফেলা গণতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যানের শামিল।

আরবি/এফআই

Link copied!