মাত্র এক বছর আগেও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল সৌদি আরব। যা মূলগতভাবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যকেই বদলে দিতে পারত। একই সঙ্গে, ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু ইরানকে একঘরে করে ফেলত দারুণভাবে। পাশাপাশি, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রশ্ন নিয়েও কোনো কথা উঠত না জোরালোভাবে।
কিন্তু বর্তমানে সৌদি আরব–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি অতীতের যেকোনো সময়ের বিবেচনায় সুদূর পরাহত। যদিও হামাসের প্রধান ইয়াহইয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির আশা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এরপরও বিষয়টি আর ইসরায়েলের পক্ষে যাচ্ছে না।
চির বৈরী ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমেই উষ্ণ করে তুলছে সৌদি আরব। দেশটি ইঙ্গিত দিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া রিয়াদ তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না। এটি সৌদি আরবের অবস্থানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
এ ছাড়া ভারত মহাসাগরে যৌথ নৌ-মহড়া শুরু করেছে ইরান, রাশিয়া ও ওমান। এতে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকছে— সৌদি আরব, ভারত, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, কাতার ও বাংলাদেশ।
স্পষ্টত, মধ্যপ্রাচ্যে একটি কূটনৈতিক দাঁতাত (উত্তেজনা প্রশমন প্রক্রিয়া) চলমান। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেমনটা পরিকল্পনা করেছিলেন, এই দাঁতাত তার ধারেকাছেও নেই। নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছিলেন, তাঁর দেশ রিয়াদের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চায়। কিন্তু সম্প্রতি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন, যা ইতিহাসে প্রথম।
এই পরিবর্তন নড়বড়ে হলেও ইরানের সঙ্গে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান ধর্মীয় বৈরীভাব দূর করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হলো, এই বৈরিতার কারণে এই অঞ্চলে বিগত কয়েক দশকে যে রক্তপাত হয়েছে তা বন্ধ করার একটি সুবর্ণ সুযোগ হাজির করেছে এটি।
কেবল উপসাগরীয় দেশগুলো নয়, সৌদি আরবও সফর করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সফর করেছেন ইরাক ও ওমানে। যাতে করে দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা প্রশমন সম্ভব হতে পারে। এর বাইরে তিনি, জর্ডান, মিশর ও তুরস্ক সফর করেছেন। বিগত ১২ বছরের মধ্যে এ–ই প্রথম কোনো ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশর সফর করলেন।
গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি তুরস্ক সফরকালে ইস্তাম্বুলে বলেন, ‘এই অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি, গাজা–লেবাননের যুদ্ধ এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের বিষয়ে এখন আমাদের একটি সাধারণ অভিযোগ আছে।’ এর ইঙ্গিত স্পষ্ট যে, এই ইস্যুগুলোতে তিনি যেসব দেশ সফর করেছেন তাদের অবস্থান একই না হলেও খুবই কাছাকাছি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যখন বারবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি অস্বীকার করছেন, তখন সৌদি আরব গণমাধ্যম এবং কূটনৈতিক ফোরাম সবজায়গাতেই এই ইস্যুকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আরব বিশ্বের নেতা হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বলেছে, ইসরায়েল যদি আমাদের পাশে পেতে চায় তাহলে একমাত্র পথ হলো— ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবন্ত চাপা পড়া শিশুদের ছবি, মৃত সন্তানের সামনে মায়েদের আহাজারি এবং ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য প্রবেশে ইসরায়েলি বাধাদানের চিত্র—এ সব কিছুই সৌদি আরবের নেতৃত্বকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইস্যুকে উপেক্ষা করা অসম্ভব করে তুলেছে।
সৌদি ব্যবসায়ী ও রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং নিওম প্রকল্পের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য আলি শিহাবি বলেন, ‘গাজা যা করেছে, তা হলো—এই অঞ্চলে ইসরায়েলের অঙ্গীভূত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি আরব দেখছে যে, ইসরায়েলের সঙ্গে যেকোনো সম্পর্ক গাজার ঘটনার পর থেকে ক্রমেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। যদি না ইসরায়েলিরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি না দেখায়—ইসরায়েল ক্রমাগত এই দাবি অস্বীকার করছে—তাহলে এই অবস্থান খুব একটা বদলাবে না।’
এখন পর্যন্ত সৌদি আরব ও এর উপসাগরীয় মিত্ররা ইরানের কূটনৈতিক পদক্ষেপের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দিহান। কারণ, ইরানের দুই তথাকথিত প্রক্সি হামাস ও হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করলেও অন্য প্রক্সি ইয়েমেনের হুতিদের অস্ত্র ও সমর্থন করে যাচ্ছে। আর হুতিরা একসময় সৌদি আরবের তীব্র বিরোধিতা করেছে। এ বিষয়ে আলি শিহাবি বলেন, ‘ইরানিরা রিয়াদের প্রতি হাত বাড়ালে সৌদি আরব কখনো ফিরিয়ে দেবে না। আর ইরান যদি সত্যই আন্তরিক হয়, সেটি হবে মধ্যপ্রাচ্যের সত্যিকারের পুনর্গঠন।’
সৌদি আরব ও ইরান দীর্ঘকাল ধরে আঞ্চলিক আধিপত্যের লড়াই করে চলেছে। এই দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত ইসলামের প্রধান দুই ভাগের—সুন্নি ও শিয়া—মধ্যকার লড়াই থেকে উদ্ভুত। আর হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতি ইরানের সেই আধিপত্যের আকঙ্ক্ষারই ফসল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েল আক্রমণ করে সাড়ে ১১ শ জনকে হত্যা করে। জিম্মি করে আড়াই শ জনের বেশি ইসরায়েলিকে। সেই ঘটনার পর ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ আগ্রসান শুরু করে। সেই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে লাখখানেক।
আলি শিহাবির মতো সৌদি রাজপরিবাবের ঘনিষ্ঠ অনেকেই মনে করেন, সৌদি আরবে গণতন্ত্র না থাকলেও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জনমতের ব্যাপারে খুবই স্পর্শকাতর। গত বছর ইসরায়েলের ব্যাপারে সৌদি আরবে সাধারণ মানুষের মত অনেকটাই কঠোর হয়ে উঠেছে।
উপসাগরীয় অঞ্চলেরে দেশগুলোর জনসংখ্যার একটা বড় অংশই তরুণ। ২০২২ সালে সৌদি আরবের নাগরিকদের গড় বয়স ছিল ২৯ বছর। এই অঞ্চলের দেশগুলোর তরুণরা প্রতিনিয়তই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মারফত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নির্মম চিত্র দেখতে পাচ্ছে। যা ইসরায়েল সম্পর্কে তাদের মনে যতটুকুও বা ইতিবাচক—নিদেনপক্ষে দ্ব্যর্থক—মনোভাব ছিল তাও বদলে দিয়েছে ঘৃণায়।
গত বছরের অক্টোবরের আগে সৌদি আরব ইসরায়েলের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র রিয়াদের সঙ্গে একটি বর্ধিত প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সমর্থন দেওয়ার কথা ছিল। এর আগে, উপসাগরীয় কিছু দেশ ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের আওতায় ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তবে দেশগুলো তখন তাদের হাতে থাকা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ও স্বীকৃতি আদায়ের জন্য ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার সুযোগটি ব্যবহার করারই আলাপ তোলেনি।
রিয়াদ দীর্ঘদিন ধরে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ব্যাপারে সোচ্চার সমর্থক ছিল। তবে নানা কারণে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই বিষয়টি সৌদি আরবের বৈদেশিক নীতিতে কম অগ্রাধিকার পেয়েছে। কারণ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাঁর ক্ষমতাকে দৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের আঞ্চলিক ও দেশীয় নীতিগুলোকে নতুন আকার দিয়েছেন। গত বছর সৌদি আরব যখন ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা চালিয়েছে তখনও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শর্ত হিসেবে উত্থাপিত হয়নি। বরং সে সময় রিয়াদের দাবি ছিল, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে—যেটি পশ্চিম তীর শাসন করে—আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতা প্রসারিত করার অনুমতি দেবে।
কিন্তু গাজার পরিস্থিতি এই দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। কিছুদিন আগে, সৌদি যুবরাজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে ওকালতি করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর উপদেষ্টা পরিষদে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, ‘সৌদি আরব পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত প্রচেষ্টা বন্ধ করবে না এবং আমরা নিশ্চিত করছি যে, সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে এটি ছাড়া কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।’ একই ধরনের ভাষণ তিনি দিয়েছিলেন ইউএস স্টেট অব দ্য ইউনিয়নে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আব্রাহাম অ্যাকর্ড চুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন। কিন্তু এই চুক্তি কাঙক্ষিত শান্তি আনতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যে। যেসব আরব রাষ্ট্র এই অ্যাকর্ডে স্বাক্ষর করেছে তাদের কেউই বিগত কয়েক দশকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করেনি এবং তার চেয়েও বড় কথা এই চুক্তিতে ইরান এবং সিরিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ এই দুটি দেশের সঙ্গেই ইসরায়েলের সক্রিয় বিরোধ আছে।
ইরানের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর বৈঠক এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যার মাত্র কয়েক দিন আগে তেহরান ইসরায়েলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়েছে। ইরান বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ, গুপ্তহত্যার শিকার হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ইরান ১৮০ টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল।
ঠিক কেন ইরান উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে জোর দিচ্ছে? এ বিষয়ে পর্যবেক্ষকরা ভাবছেন, ইসরায়েলি হামলা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করেছে বলেই হয়তো সময়ক্ষেপণের জন্য এই কাজ করছে। কারণ, লেবাননের এই মিলিশিয়া বাহিনী দীর্ঘকাল ধরে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী আরব মিত্র ও প্রক্সি। দীর্ঘদিন গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ও মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানের শক্তি প্রদর্শনের অন্যতম হাতিয়ার। হিজবুল্লাহ ইরানের পক্ষ থেকে বেশ ভালোই ধাক্কা দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলকে। এই অঞ্চলে হিজবুল্লাহ ছাড়া তেহরান মারাত্মকভাবে দুর্বল।
গাজায় চলমান যুদ্ধ আব্রাহাম অ্যাকর্ডে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে ওকালতি শুরু করতে বাধ্য করেছে। কারণ, তারাও নিজ নিজ জনমত নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাত গত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই সম্পর্কও ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে। সেই চাপের কারণেই হয়তো আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ গত মাসে বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা পুনর্নির্মাণের ভার ইসরায়েলের কাঁধেও বর্তাবে। তিনি বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজা যুদ্ধের পরবর্তী পদক্ষেপ সমর্থন করতে প্রস্তুত নয়।’
যদিও নেতানিয়াহু দাবি করেই চলেছেন যে, রিয়াদের সঙ্গে একটি স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরে কাজ করছে ইসরায়েল। তবে সৌদি কর্মকর্তারা, দেশের জনমতের বিস্তৃত বিভাজনকে সামনে তুলে ধরে সেই বিষয়টিকে দৃষ্টির অগোচরে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে আলি শিহাবি বলেন, ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস মূলত একটি চটকদার বিষয়। এতে বাস্তব, স্থায়ী আঞ্চলিক শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছুই এতে ছিল না। যেসব রাষ্ট্র এতে স্বাক্ষর করেছে তারা তা করেছে—কারণ, তারা ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনে প্রভাব বিস্তারের পথ হিসেবে দেখে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইসরায়েলের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষমতা বা প্রভাব নেই—যা খুবই অপমানজনক এবং ইসরায়েলিদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কোনো ইচ্ছাই নেই।’
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :