ঢাকা: আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস প্রার্থী হয়েছেন অনেকটাই নাটকীয়ভাবে। শুধু তাই নয় প্রার্থী হয়েই জনপ্রিয়তার বিচারে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে গেছেন। নতুন করে জ্বালিয়েছেন প্রায় নিভে যাওয়ায় ডেমোক্রেট পার্টির আশার আলোও। ডেমোক্র্যাট পার্টি থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হলেও গড়বেন নতুন ইতিহাস।
আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকার ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট দেবে মার্কিনিরা। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস বিজয়ী হলে দীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পাবে আমেরিকানরা। অথচ নির্বাচনের তিন মাস আগেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলার মনোনয়নের সম্ভাবনা ছিলো খুবই ক্ষীণ।
অনেকটা নাটকীয়ভাবেই হোয়াইট হাউজের দৌঁড়ে সামিল হয়েছেন কমলা।
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের তোড়জোড়ে শুরুর দিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির গাধা প্রতীক জো বাইডেনের জন্যই বরাদ্দ ছিলো। দুই মাসের বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে জয়ী হয়ে দলীয় মনোনয়ন গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন বাইডেন।
রানিংমেট হিসেবে নির্ধারিত ছিলেন কমলা হ্যারিস। তবে ৮২ বছরের বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম কি না এই দ্বিধা ক্রমেই বাড়ছিল। ২৭শে জুন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে প্রথম বিতর্র্কে নিদারুণ ব্যর্থতার পর দলের ভেতরেই তার প্রার্থিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
নিজ দলের ভেতরে সমর্থন হারাতে শুরু করেন বাইডেন, ক্রমেই কমতে শুরু করে তহবিল। দলীয় সদস্যদের প্রবল অনাগ্রহে বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান। ২১শে জুলাই দলীয় প্রার্থী হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন কমলা হ্যারিস।
ডেমোক্রেট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষিত হওয়া মাত্রই রাতারাতি বদলে যায় পরিস্থিতি। এক মাসে প্রায় ৩০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেন কমলা, যার অধিকাংশ আসে সাধারণ আমেরিকানদের কাছ থেকে।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের ভাষায়, কমলাকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে যেন তড়িৎপ্রবাহের মতো আস্থা ফিরে পেয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। অবশেষে আগস্টে ডেমোক্রেটিক কনভেনশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় কমলা হ্যারিসের নাম।
আপনার মতামত লিখুন :