লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

লক্ষ্মীপুরে ১৩ বছর পর ৫ ইউপি'তে চলছে ভোট গ্রহণ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ভিড় উৎসবরমুখর পরিবেশে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সীমানা জটিলতা থাকায় ১৩ বছরেরও অধিক সময় এ ইউনিয়নগুলোতে নির্বাচন স্থগিত ছিল। 

অবশেষে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ৫ ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলবে। ১৩ বছর পর নির্বাচন হওয়ায় লাহারকান্দির আবিরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। 

নির্বাচনী ইউনিয়নগুলো হল- দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ। ৫টি ইউনিয়নে ২৮ জন চেয়ারম্যান, ২২৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইউনিয়নগুলোতে ভোটার রয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন। 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ হামছাদীতে চেয়ারম্যান পদে মীর শাহ আলম (ঘোড়া), সৈয়দ আবুল কাশেম (আনারস) ও কামাল উদ্দিন চৌধুরী, দালাল বাজার ইউনিয়নে নুরনবী চৌধুরী (অটোরিকশা), খসরু নোমান রতন (ঘোড়া), নুরুজ্জামান মাষ্টার (আনারস), জাবেদ হোসেন (মোটরসাইকেল) ও নজরুল ইসলাম (চশমা), বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে শেখ জামান রিপন (মোটরসাইকেল), গোলাম মাওলা (ঘোড়া), মিজানুর রহমান (চশমা), মো. ইসমাইল (আনারস) ও মিজানুর রহমান (অটোরিকশা), লাহারকান্দি ইউনিয়নে খোরশেদ আলম শাহিন (অটোরিকশা), মোজাম্মেল হোসেন মিজান পাটোয়ারী (চশমা), ফজলুর রহমান (ঘোড়া), আশরাফুল আলম (টেলিফোন) কামাল হোসেন (আনারস), রাসেল খান (মোটরসাইকেল), শামছু উদ্দিন (টেবিলফ্যান) ও তেওয়ারগঞ্জ ইউনিয়নে ফারুক ওমর ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস), আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী (অটোরিকশা), আল মাহমুদ ইবনে হুছাইন (মোটরসাইকেল), মনির মাহমুদ নোবেল (টেলিফোন), উসমান হোসেন (চশমা), মাহফুজুর রহমান (ঘোড়া), শাহেদা আক্তার (রজনীগন্ধা), সবুজের রহমান (ঢোল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

জেলা নির্বাচনের কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসার, র‍্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের অবস্থান নেওয়ার সুযোগ নেই। স্থানীয় মানুষজন অবশ্যই কারা বহিরাগত তা শনাক্ত করতে পারবেন। আমাদেরকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেব। বহিরাগতদের দেখলেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। সুতরাং কোনো সমস্যা নেই। অসুবিধা হলেই আমাদের জানাবেন।

মন্তব্য করুন