মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ মে, ২০২৪, ১১:৪৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

অভিযানের পরেও যমুনায় বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ ড্রেজার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জে শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নে বেড়িবাঁধকে উপেক্ষা করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সংবাদ গত ২৯ এপ্রিল বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ৩০ এপ্রিল উপজেলা নির্বহী অফিসার মো: বেলাল হোসেন অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযান পরিচালনার সময় তিনি একটি ট্রাক জব্দ করে এবং কয়েক হাজার মিটার পাইপ বিনষ্ট করেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজার মালিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অভিযান পরিচালনার কয়েক ঘন্টা পর হতেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পুনরায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে। তারা মানছে না কোন সরকারি আইন কানুন ও প্রশাসন। অবৈধ ড্রেজার মালিকরা দিন রাত সমান ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরকার হারাচ্ছে রাজেস্ব এবং হুমকির মুখে পড়ছে বেড়িবাধসহ মানুষের বসত বাড়ি। বালু পরিবহনের জন্য অবৈধ ড্রম ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তাঘাট ও বেরিবাঁধ নষ্ট করে একদিকে মানুষের চলাচলে অযোগ্য করে ফেলেছে অন্যদিকে ধুলা-বালির কারনে মানুষের বাড়ি-ঘরে রসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

অনেকেই এসব ধুলা বালির মধ্যে চলাচল করায় নানা ধরনের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সড়ক দিয়ে বে-পরোয়া ভাবে ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচল করায় দুর্ঘটনারও সম্ভাবনা রয়েছে।

ইউনিয়নের যমুনা নদীর পাড় ঘেষেই বেরিবাঁধ ও মানুষের বসত বাড়ি উপেক্ষা করে প্রায় ৫ টি গ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০টি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে।

নিহালপুর গ্রামে মনির ও মুন্না দক্ষিন তেওতা গ্রামে শ্যাম মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, জালাল উদ্দিন, বিশ্বজিৎ ও আবুল মিয়া, জাফরগঞ্জে সাতুরিয়া গ্রামে রুবেল ও মোশারফের বাড়ির সামনে থেকে হালিম, মুন্না, টুকু, নান্নু মিয়া, রাকিব (রাকা), হাবিবুর মেম্বার, ফরহাদ, হালিম, মুক্তার ও হারুন বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। 

স্থানীয়রা বলেন, আমরা ভেবে ছিলাম এই অভিযানেই ড্রেজার বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু অভিযানের পর ড্রেজার মালিকরা আরো বেপরোয়া ভাবে ড্রেজার চালাইতে শুরু করেছে। ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের মানুষ, রাতের বেলায় ঘুমানো দুস্কর। তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী টু শব্দ করতে সাহস পায় না। তাদের খুঁটির জোর আছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

ড্রেজার ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম রাকার সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, প্রশাসনতো অভিযান করবেই, তাই বলে আমাদের ড্রেজার বন্ধ থাকবে না-কি।

এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বেল্লাল হোসেন বলেন, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। গত অভিযানে একটি ট্রাক জব্দ করে কয়েক হাজার মিটার পাইপ বিনষ্ট করা হয়েছে এবং আমদের অভিযান অব্যাহত আছে।

মন্তব্য করুন