বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ মে, ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বনাথে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সুহেল, করিমা ও সুইট ভাইস চেয়ারম্যান

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সিলেটের বিশ্বনাথে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেকসহ সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ-পিরিচ) প্রতীকের প্রার্থী ৩৫৪ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছাঃ করিমা বেগম ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুহিবুর রহমান সুইট বিজয়ী হয়েছেন।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর রাত ১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বর্ণালী চক্রবর্তী। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৪টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ওই দিন রাতে বেসরকারি ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে সুহেল আহমদ চৌধুরী ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ (আনারস) পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট। যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্বনাথ স্পোটর্স ডেভোলাপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকের যুগ্ম সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসী সেবুল মিয়া (দোয়াত-কলম) ১১ হাজার ৬৯৯ ভোট ও বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন (টেলিফোন) ৮ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়েছেন।

জানা গেছে, রাত ৯টার ভেতরেই উপজেলার ৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টির ফলাফল মিলে যায়। কিন্তু এসময় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে  খাজাঞ্চি ইউনিয়নের নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইটিং অফিসার মো. বিল্লাহ হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেন।

অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন- নোয়ারাই কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে প্রিজাইটিং অফিসার তড়িঘড়ি করে ফলাফলের কাগজ কোনো এজেন্টের স্বাক্ষর না নিয়ে চলে আসেন। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্তও তিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় না পৌঁছালে কর্মকর্তা তাকে পুলিশ পাঠিয়ে নিজ বাসা থেকে ডেকে আনেন। আসার পর তিনি নোয়ারাই কেন্দ্রের রিজাল্ট শিট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দিলে দেখা যায়- এতে কোনো এজেন্টের স্বাক্ষর নেই। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কাগজে ভোটের সংখ্যা এবং গণনা শেষে কেন্দ্রে ঘোষণার সংখ্যার মধ্যে তারতম্য রয়েছে। 

এসব বিষয় নিয়ে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে তিনি সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নিয়ে সমাধানের জন্য আলোচনা করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। 

আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীকের প্রার্থী মুহিবুর রহমান সুইট মাইক প্রতীকে ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ করিমা বেগম কলস প্রতীকে ২৩ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

ওই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বনাথ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৮হাজার ৩৭। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৭ হাজার ৬ ও নারী ভোটার ৯১ হাজার ৩১জন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাররা সর্ব মোট ভোট প্রয়োগ করেন ৬০ হাজার ৪১৯, বৈধ ভোটের সংখ্যা ৫৮ হাজার ১৩৬, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ২৮৩, প্রদত্ত ভোটের শতকরা হা ৩২%।

মন্তব্য করুন