ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: ৯ মে, ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড়যুগ পূর্তি ও ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার দেড়যুগ পূর্তি ও ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান মঞ্চে’ ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায়
সভাপতিত্ব করেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এম.পি.। রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায়
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বৃহত্তর ময়মনসিং সাংস্কৃতিক ফোরামের মহাসচিব প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান শেলী। আলোচনা করেন চারুকলা
অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-মাহমুদ কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকার।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসটি শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এম.পি.
ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এ সময় ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বৃহত্তর ময়মনসিং সাংস্কৃতিক ফোরামের
মহাসচিব প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান শেলী, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধানসহ ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামান ও জাতীয়
কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নবনির্মিত কলা ভবনে সামনে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্তকরণ শেষে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গাহি সাম্যের গান মঞ্চে গিয়ে সমবেত হয়। পরে এই মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় ১৯ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে উপাচার্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরাসহ ১৮ পাউণ্ড ওজনের একটি কেক কাটেন। এরপরই শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা সভা।

উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয় বিদ্রোহী কবির নামে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বিশ^বিদ্যালয়। কবি নজরুল নামাপাড়া গ্রামের যে বট গাছের নিচে বাঁশি বাজাতেন, সেই বটতলার কাছেই ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ মে এই বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা
হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ^বিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশে^র সাথে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের রূপকল্প নিয়ে কাজ করছে।
চারটি বিভাগ দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়টি শুরু করা হলেও এখন বিভাগের সংখ্যা ২৪।

মন্তব্য করুন