আসিম জাওয়াদকে দেখতে ছুটে এসেছে শত শত মানুষ

চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ মানিকগঞ্জে এসে পৌছলে তাকে এস নজর দেখতে ছুটে এসেছে শত শত মানুষ।

আজ শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ১২টার দিকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে এসে পৌছায়।

বাদ জুমআ মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং জানাজা শেষে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার সেওতা কবরস্থানে তাকে তার নানার কবরের পাশে দাফন করা হয়।

আসিম জাওয়াদের মৃত্যুর খবরে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেন এবং নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, আসিম জাওয়াদ রিফাতের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। তার বাবা ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লাহন একজন চিকিৎসক। আর মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। রিফাত নারায়ণগঞ্জে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম অন্তরা আক্তার। মৃত্যুকালে সে এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানাধীন জহুরুল হক ঘাঁটির বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। বিমানের দুজন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে আগুন ধরে যায়। এ সময় বিমানে থাকা দুজন পাইলট প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে যান। একপর্যায়ে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়।