আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ মে, ২০২৪, ০২:১২ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

আইসিজের রায়ের কয়েক মিনিট পর রাফাতে ইসরায়েলের হামলা

ছবি সংগৃহীত

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে অবিলম্বে সেনা অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। কিন্তু রায় ঘোষণার কয়েক মিনিট না যেতেই শহরটির শরণার্থীদের ওপর ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

শুক্রবার (২৪ মে) আইসিজের নির্দেশের পরপরই রাফার শাবৌরা শরণার্থী শিবিরে এ হামলা চালানো হয়। খবর বিবিসির।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শরণার্থী শিবিরের পাশেই অবস্থিত হাসপাতালে কাজ করা এক কর্মী বলেন, ইসরায়েলের বিমান হামলায় পুরো শাবৌরা ক্যাম্প কালো ধোঁয়ার মেঘে ঢেকে গেছে। হামলার তীব্রতার কারণে এখনো উদ্ধারকারী দলগুলো সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

এর কয়েক মিনিট আগেই গাজায় যুদ্ধাপরাধের শুনানি চলাকালে ইসরায়েলকে রাফাহ শহরে হামলা বন্ধের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালেতের ১৫ বিচারকের একটি প্যানেল এই নির্দেশ দেন।

এদিন আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, রাফাতে মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি এই শহর থেকে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য ইসরায়েল যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাফাতে মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। ইসরায়েলকে অবশ্যই অবিলম্বে তার সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি এমন যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, যা গাজাবাসীর জীবনকে আরও মানবেতর করে তুলতে পারে।’

এছাড়া আইসিজে কর্তৃক আদেশকৃত ব্যবস্থা প্রয়োগের অগ্রগতি সম্পর্কে ইসরায়েলকে এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরায়েলকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক আদালত।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় সেনা অভিযান শুরুর পর রাফাকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করে ইসরায়েল। সে সময় গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি শহরটিতে আশ্রয় নেয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ লাখ মানুষের আবাসস্থল হয়ে ওঠে শহরটি। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে এখানেও ইসরায়েলি অভিযান শুরু হওয়ায় লাখ লাখ গাজাবাসী তাদের শেষ নিরাপদ অঞ্চলটিও ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘ বলছে, গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৮ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি রাফা থেকে পালিয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন