খুলনা ব্যুরো

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

খুলনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১২ প্রশিক্ষক ও কর্মচারীদের চিঠিতে কাফনের কাপড়

ছবি সংগৃহীত

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ফুলবাড়িগেট শাখা থেকে রবিবার (২৪ মার্চ ) বেলা দেড়টার দিকে ফোনে জানানো হয় আপনাদের নামে ডাকে চিঠি এসেছে। কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ফোন পেয়ে আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী কুয়েট রোডে অবস্থিত খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১২ প্রশিক্ষক , কর্মকর্তা ও কর্মচারী চিঠি রিসিভ করে একে একে চিঠির খামও খোলেন। কিন্তু খামের ভেতরের চিঠি পেয়ে সকলের চোখ চড়কগাছ! চিঠির ভিতর এক টুকরো সাদা কাগজের সঙ্গে পিন মারা কাফনের কাপড় সাদৃশ্য। সাদা কাগজে লেখা ’প্রস্তুত থাকিস’।

হুমকির চিঠি পাওয়া প্রতিষ্ঠানের ১০ জন ইন্সটেক্টর হলেন মোঃ রিয়াজ শরীফ, সৈয়দ মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ মাসুদুল ইসলাম, মোঃ মাহাবুবুর রহমান, মোঃ জোবায়দুর রহমান, মোঃ মরুফ আহমেদ, মোঃ আব্দুল হামিদ, মোঃ হযরত আলী বুলেট, উন্মেহাবিবা ইসলাম, পলক কুমার বিশ্বাস, অফিস সহকারী মোঃ মনিরুল হক তালুকদার(রাজ), ড্রাইভার মোঃ আমিনুর সরদার। হুমকি পাওয়া শিক্ষকরা জানিয়েছেন যাদের নামে এ ধরনের চিঠি এসেছে তারা সকলেই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।

প্রতিষ্ঠানের চীফ ইন্সপেক্টর মোঃ রিয়াজ শরীফ আড়ংঘাটা থানায় করা ডায়েরিতে উল্লেখ করেন ২৪ মার্চ সময় অনুমান ১ টা ৩৩ মিনিটে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ফুলবাড়ি গেট শাখা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমি সহ আরো ১১ জনের নামে ডাক আসছে মর্মে জানায়। আমিসহ অন্যরা ডাক রিসিভ করি এবং ডাক খুলে দেখতে পাই যে, “প্রস্তুত থাকিস” লেখা সম্বলিত ১ টি সাদা কাগজের সাথে ১ টুকরো সাদা কাফনের কাপড় সংযুক্ত আছে।

এ ঘটনার জন্য প্রতিষ্ঠানের চীফ ইন্সট্রাক্টরসহ অন্যরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে দায়ী করছেন।

প্রতিষ্ঠানের চীফ ইন্সট্রাক্টর জানান, বিষয়টি আমরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে জানিয়েছি । তিনি লিখিত দিতে বলেছেন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা প্রতিষ্ঠানের ১২ জন প্রশিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হুমকি সম্বলিত চিঠি দিয়েছে এ সম্পর্কে কিছুই জানিনা। আমি তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি অফিসিয়াল ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা সেটা না করে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে থানায় ডায়েরি করেছে। তারা একের পর এক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমাকে অধ্যক্ষের পথ থেকে অপসারণের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত ইন্সট্রাক্টর সৈয়দ কামাল অফিসে এসে আমাকে হুমকি দেয়। এটা খুবই দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে ইনশাল্লাহ।

মন্তব্য করুন