এসএম শাফায়েত, ইউএই

প্রকাশিত: ৬ মে, ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

দুবাইতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ মোটেও দায়ী নয়

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থায়নের ব্যবস্থা সহ এই খাতে ব্যাপক অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দুবাইয়ের একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের কমার্শিয়াল উইংয়ের আয়োজনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের করনীতির উপর বিশেষ সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগের জন্য দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহবান জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ুর অভিঘাতের জন্য বাংলাদেশ মোটেও দায়ী নয়, বরং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ চলছে। সেই সঙ্গে আমরা চেষ্টা করছি ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ানোর। সেটার জন্য আমাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। এডিবি, বিশ্বব্যাংক, কেএফডব্লিউ থেকে শুরু করে আমরা সকল উন্নয়ন সহযোগীদেরকে একটা মঞ্চে নিয়ে আসছি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের যে পথ রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করছি।

দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রচুর পরিমাণ অর্থায়ন প্রয়োজন। আমাদের প্রতিবছর যে পরিকল্পনা রয়েছে শুধুমাত্র সেগুলো বাস্তবায়নের জন্যও প্রয়োজন ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়ে যদি ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে চলে যায়, তাহলে আর এই অর্থ আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে না।

দেশের পর্যটন, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, তৈরী পোশাকশিল্প, পাটজাত ও চামড়াজাত শিল্প, তথ্য প্রযুক্তিখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয় এই সেমিনারে।  প্রবাসে থাকা ব্যবসায়ীরাও যাতে দেশে বিনিয়োগ করেন পাশাপাশি বিদেশি ব্যবসায়ীদেরও দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হবার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন।

বিদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের পাশাপাশি এখন নিজ দেশে বিনিয়োগের সময় এসেছে। বলেন, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ইউএই এর সভাপতি সিআইপি মাহতাবুর রহমান নাসির।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের করনীতির সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোও সেমিনারে তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে দেশটিতে থাকা গোল্ডেন ভিসাধারী ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যাতে দেশটির করনীতি অনুসরণ করে জরিমানা মুক্ত থাকতে পারেন সেই বিষয়ে সচেতন করা হয়। এ সময় সচিত্র আলোচনা উপস্থাপন করেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রকৌশলী শাহরিয়ার পাভেল ও মিস মোহসেনা খানম। 

মন্তব্য করুন