টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২ মার্চ, ২০২৪, ১০:১২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

টাঙ্গাইলে ফলের বাজার উর্ধগতি

ছবি সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে ফলের বাজার উর্ধগতি, ফল কিনতে বিমুখ নিম্ন আয়ের ক্রেতাসাধারণ এবং মধ্যবিত্তরা। পবিত্র মাহে রমজানে চাহিদা বেড়ে যায়  দেশি- বিদেশি ফলের। টাঙ্গাইলেও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ফলের দাম উর্ধগতি থাকার কারনে নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, বিমুখ হচ্ছে মধ্যবিত্তরাও। 

প্রতি কেজি ফলের দাম গত দুই-তিন দিনের ব্যবধানে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

টাঙ্গাইলের বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তরমুজের কেজি ৮০-৯০ টাকা, বলসুন্দরি বরই ১১০-১৩০ টাকা ও আপেল বরই ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই দিন আগে তরমুজের দাম ছিল ৭০ -৮০ টাকা, বলসুন্দরি বরই ১০০ টাকা ও আপেল বরই ১০০-১২০ টাকার মধ্যে। প্রতিটি ফলের দামই ১০-২০ টাকা বেড়েছে বলে জানান ফল বিক্রেতারা। 

দেশি ফলের দামও পিছিয়ে নেই, ডজন প্রতি, শবরি কলা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, বাংলা কলা ১০০/- টাকায়, চাঁপা (চম্পা) কলা ৭৫ টাকায় ও সাগর কলা ১৪০ টাকায়, আকারভেদে প্রতি পিচ বের বিক্রি হচ্ছে ১০০ - ২৫০ টাকা পর্যন্ত, আকারে একটু ছোট হলে ৭০-৮০ টাকা। আর কদবেলের পিস ৫০-৭০ টাকা। 

এছাড়া থাই পেয়ারার দাম ৮০-১০০ টাকা কেজি ও দেশি পেয়ারা ১০০-১২০ টাকা। এদিকে খেজুরের সর্বনিম্ন দাম কেজিপ্রতি ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে জাতভেদে প্রায় দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে জাহিদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ৩০০-৪৮০ টাকা, সৌদি মরিয়ম খেজুর ১০০০ থেকে এক হাজার টাকা, আজুয়া খেজুর ১২০০/- টাকা  থেকে ১৪০০/- টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রিকশা চালক আমিনুল ইসলাম জানায়, ফলের দাম উর্ধগতি হওয়ায় এই রমজানে দু-এক দিনের বেশি ফল কেনা সম্ভব হয়নি। 

ফলপট্টির ফল ব্যবসায়ী সামাদ জানায়,  রোজায় ফলের চাহিদা বেড়ে যায়, চাহিদার  তুলনায় আমদানি কম, যে কারণে ফলের দাম বেড়ে গেছে।

ফল ব্যবসায়ী আলামিন জানায়, গত কয়েকদিন আগেও এসব ফলের দাম কিছু কম ছিলো। পাইকারি বাজার থেকে আমরা যখন কিনি, তখন সেখান থেকেই খুচরা পর্যায়ের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

আমরাও সেই দামেই বিক্রি করি। রমজানের বাড়তি চাহিদার কারণে অনেক ফলই কাঙ্ক্ষিত দামে কিনতে পারা যায়নি। তবে চাহিদার তুলনায় ফল আমদানি করা হলে ফলের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে পারে।

মন্তব্য করুন