ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:১৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ঠাকুরগাঁওয়ে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রচন্ড খরতাপ, তাপদাহ ও তীব্র গরমে  অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ। তাপপ্রবাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা।অনেকে তাপপ্রবাহ হতে বাচতে আখের রস ও সরবতের দোকানে ভীড়  করছেন।হাসপাতালে বাড়ছে হিট এলার্ট জনিত জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।

ঠাকুরগাঁওয়ে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে চলছে  তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া বিভাগের মতে, জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে । কাঠফাটা রোদ ও তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সূর্য ওঠার পর থেকেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। অসহনীয় তাপদাহে দুর্ভোগ বাড়ছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের। খাল বিল ও পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে।

তীব্র গরমে  দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, শ্রমজীবী ও কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।তারা খরতাপের কারণে বাইরে কাজ করতে পারছেন না। জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। হাসপাতালে দীর্ঘ হচ্ছে রোগীর সিরিয়াল। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল পরিমাণ ঠাঁই নাই। অতিরিক্ত গরমে তেষ্টায় অনেকে সরবত ও আখের রসের দোকানে ভীড় করছেন।

প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি হতে বের হচ্ছেনা।
 সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।তারা পেটের তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হলেও  যাত্রী পাচ্ছেন না।

সকাল থেকেই সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে চারদিক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাপমাত্রার প্রখরতা। তাপদাহে ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের। কৃষকদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মাঠে কাজ করা। এ জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকলেও মোবাইলে সো করছে ৪০ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমের এই সময় প্রচুর পানি খেতে হবে।বেল ও তরমুজের শরবত ও ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। বাইরের খাবার এবং সড়কের পাশে বিক্রি হওয়া শরবত না খাওয়ারও পরামর্শ তাদের।

এদিকে খরতাপ হতে বাঁচতে গত কয়েকদিন ধরে জেলায় চলছে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়।মুসল্লীরা চোখের পানি ফেলে নিজেদের পাপতাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চাইছেন।

মন্তব্য করুন