তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ০২:০১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

তানোরে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু, বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীর তানোর উপজেলা জুড়ে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু করা হয়েছে। আকাশের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান ও খড় ভালো ভাবে শুকিয়ে বাড়িতে তুলতে পারছেন বোরো চাষিরা। আসা করা যাচ্ছে সপ্তাহ দু-এক দিনের মধ্যে সব বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করে সুষ্ঠু ভাবে ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন বোরো ধানের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় বোরো জমির ধান পেকে সোনালী রঙে শোভা ছড়াচ্ছে জমিতে। অন্যদিকে আলু উত্তোলনের জমিতে লাগানো বোরো ধান সুবজ হয়ে বেড়ে উঠছে। 

কৃষকরা জানান, এবার আগেই বহিরাগত শ্রমিক আসায় এলাকার শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে গতবারের মতো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছেনা কৃষকদের। গত বছর বহিরাগত শ্রমিকরা না আসার কারণে স্থানীয় শ্রমিকরা নিজেদের ইচ্ছে মতো শ্রমের মূল্য বাড়িয়ে কেউ পাইট হিসেবে কেউ জমি ঠিকা নিয়ে করেছিলেন ধান কাটা কাজ। ফলে শ্রমিক নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল কৃষকদের। কিন্তুু এবার আগে ভাগেই বহিরাগত শ্রমিকরা আসায় স্বস্তিতে বোরো ধান কাটতে পারছেন কৃষকরা। 

জানা গেছে, এবছর বোরো ধানের ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। এবছর বোরো জমিতে প্রতি বিঘায় সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৩২মন করে ফলন হচ্ছে। বাজারেও দাম ভালো থাকায় ব্যাপক খুশি হলেও দাম ও আবহাওয়া নিয়ে অনেকটাই সংকিত রয়েছে কৃষকরা। 

তানোর শিবনদী (বিলকুমারী) বিলের একেবারে নিচে থেকে মাথায় ও বাঁশের ভারে করে ধান নিয়ে এসে তালন্দ বাজার পার হয়ে মুল রাস্তায় পালা দিয়ে রেখেছেন শ্রমিকরা। তারা জানান ১০ জন শ্রমিক এক সাথে কাজ করছি। বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ মন মুজুরিতে ধান কাটা হচ্ছে। যে সব জমি একেবারেই নিচে সেগুলো থেকে ধান বহনে প্রচুর কষ্ট হয়। ওই সব জমিতে বিঘায় ৬ মন করে নেওয়া হয়। আর রাস্তার ধারের জমি সেগুলোতে ৫ মন করে নেওয়া হয়।  

তানোর থানার মোড়ের ধান ব্যবসায়ী সুনিল দাস জানান, পাকি ১১শ টাকা মন ধান বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের দাম আরো বাড়বে। আমাদের উপজেলায় কাচি পাকি দুই ধরনের হিসাব হয়। ২৮ কেজিতে কাচি ১ মন, বাজার মুল্য ৭০০ টাকা, আর ৩৭ কেজিতে পাকি ১ মন বাজার মুল্য ১১০০ টাকা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ করেননি তিনি। 

মন্তব্য করুন