দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

দৌলতপুরে এসিল্যান্ড না থাকায় ভোগান্তিতে সেবা গ্রহীতারা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীদুল ইসলাম বদলি হওয়ায় এসিল্যান্ডের পদটি একমাসেরও বেশি সময় ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে দৌলতপুর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে নামজারি, মিস কেস, ভূমি উন্নয়নকর পরিশোধ সহ নানা ধরনের ভূমি সেবা পেতে ভোগান্তিতে
পোড়েছে সেবা গ্রহীতা সাধারণ মানুষ।

দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী মো. শাহীদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলায় বদলি হোন। এরপর থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড পদটি শূন্য রয়েছে। ফলে ভূমি সংক্রান্ত জরুরি সেবা সহ সব ধরণের কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে। বিগত দিনে এসিল্যান্ড না থাকলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসিল্যান্ডের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার দু’একটি অফিসিয়াল চিঠি ছাড়া তেমন কোন দ্বায়িত্ব পালন না করার ফলে প্রায় সকল প্রকার ভূমি সেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন দৌলতপুরর শত সহস্র সেবা গ্রহীতা। প্রতিদিন দুর-দুরান্ত থেকে সেবা নিতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন সেবা গ্রহিতারা।

উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড় এলাকাল আবুল হোসেন জানান, এসিল্যান্ড না থাকায় জরুরী প্রয়োজন থাকা সত্বেও ভূমি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। দৌলতপুর বৃহৎ উপজেলা হওয়ায় এখানে সার্বক্ষণিক এসিল্যান্ড থাকা জরুরী। এরআগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি নামজারির আবেদন জমা পড়লেও বর্তমানে তা জমা পড়ছে ১৫থেকে ২০টি। ফলে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নামজারি, মিস কেসের শুনানি না করার কারণে জটিলতা বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের দাবী।

তারা আরো জানান, এসিল্যান্ডকে প্রতিদিন নামজারি, খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান, ভূমি উন্নয়ন কর আদায় সহ নানা ধরনের কাজ করতে হয়। সাধারণত এসব কাজ এসিল্যান্ড দ্রুততার সাথে করে থাকেন। কিন্তু তিনি না থাকায় ভূমি সেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রায় অচল হয়ে পড়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারী এ দপ্তরটি।

এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ভূমি অফিসে কোন কাজ বন্ধ নেই। সব কাজ চলছে ঠিকমত। খুব শীঘ্রই নামজারির শুনানি শুরু হবে।

মন্তব্য করুন