নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ, ২০২৪, ১১:৩২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি

বাঘে ধরলে ১৮ ঘা, ছাত্রলীগ ধরলে ৩৭ ঘা

ছবি সংগৃহীত

বাঘে ধরলে আঠারো ঘা, ছাত্রলীগ ধরলে ছত্রিশ ঘা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন। তিনি বলেন, আজকে বুয়েট প্রশাসন নিয়মবহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করে। কেন আপনারা সিট বাতিল করেছেন? কেউ আপনাদের চাপ দিয়েছে? ছাত্রলীগের হাজার-হাজার নেতাকর্মী যদি চাপ দেয়, পালানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না। মনে রাখতে হবে বাঘে ধরলে আঠারো ঘা, ছাত্রলীগ ধরলে ছত্রিশ ঘা।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেছেন, ছাত্রদলের টেন্ডার বাজির জন্য বুয়েটে সাবিকুন্নাহার সনিকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। বুয়েটে আবরার ফাহাদ হত্যার পর ছাত্রলীগ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। আবরার ফাহাদের পরিবারের অনুভূতিকে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু এই হত্যাকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে মৌলবাদী গোষ্ঠী।

তিনি বলেন, বুয়েটের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন পোস্টার লাগায়, চিকা মারে। বুয়েট প্রশাসন তাদের উৎসাহিত করে। কয়েকদিন আগের ঘটনায় প্রশাসন কোনো তদন্ত ছাড়া, নোটিশ ছাড়া, নিয়মবহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করে। কেন আপনারা সিট বাতিল করেছেন? কেউ আপনাদের চাপ দিয়েছে? আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার-হাজার নেতাকর্মী যদি চাপ দেয়, পালানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না। মনে রাখতে হবে বাঘে ধরলে আঠারো ঘা, ছাত্রলীগ ধরলে ছত্রিশ ঘা।

একটি মহল আবরার ফাহাদের ঘটনাকে উপজীব্য করে বুয়েটের আবহমান সংস্কৃতিকে বিচ্ছিন্ন করার পায়তারা করছে উল্লেখ করে শয়ন বলেন, এই ঘটনার পর তাড়াহুড়া করে বুয়েট প্রশাসন ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তৎকালীন সময়ে বুয়েটের নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে আমরা চুপ থাকি। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যখন বুয়েট ক্যাম্পাসে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে, তখন বাংলাদেশের আইন দ্বারা যারা নিষিদ্ধ, বিভিন্ন সময় যারা জঙ্গিবাদের সন্ত্রাসের রাজনীতির জন্য অভিযুক্ত তারা সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা আবরারের প্রতি সমব্যথী, আবরারের সহপাঠীদের প্রতি সমব্যথী। সেই সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার আমরা করেছি। কিন্তু আমরা দেখতে পাই শহীদ আরিফ রায়হান দ্বীপের কথা বুয়েট প্রশাসন বেমালুম ভুলে গেছে।

তিনি বলেন, আজকের টাঙ্গুয়ার হাওরে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার জন্য। তাদের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে বুয়েট প্রশাসন চুপ থেকেছে। তাদের ক্ষেত্রে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলে হিজবুত তাহরী সংগঠন ইমেইল পাঠায়। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। আমরা অবাক হয়ে থাকি এ ধরনের কার্যক্রমে বুয়েট প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না।

মন্তব্য করুন